নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, বাইরের নিরাপত্তা আমরা দেব আপনারা ভোটকেন্দ্রের ভিতরের নিরাপত্তা দিলে সম্মিলিতভাবে একটি অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব হবে। পথভ্রষ্ট, অতিউৎসাহী, সন্ত্রাসীদের কোনো সুযোগ দেয়া যাবে না। সন্ত্রাসীদের পরিচয় তারা সন্ত্রাসী তাদের কোন দল নেই। নির্বাচনে কোন গোলযোগ সৃষ্টির পায়তারা করা হলে র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী তাদের কঠোর হস্তে দমন করবে।
আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনের সাখে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং এবং পোলিং এজেন্টদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
যশোর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, খুলনা বিভাগীয় নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
তিনি আরও বলেন, ভোট অধাধ নিরপেক্ষ করার জন্য ভোট কেন্দ্রে সাংবাদিক কিংবা নির্বাচন পর্যবেক্ষনের সাথে জড়িতরা প্রিজাইডিং অফিসারের নিকট থেকে অনুমতি নয় তাকে অবহিত করে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ এবং ভেতরে ছবি তুলতে পারবেন। শতভাগ নিরপেক্ষতা নিয়ে নির্বাচন কমিশন কাজ করবে। আগামী নির্বাচনের দিকে দেশি-বিদেশিসহ সকলে তাকিয়ে আছে।
পরে স্থানীয় সাংবাদিকের সাথে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন কোন কেন্দ্রে ভোট ডাকাতির চেষ্টা করা হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া হবে। জোর পূর্বক বা জাল ভোট প্রদানে সহায়তার অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড বা চাকুরিচ্যুত করা হবে।
ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। প্রধান বিরোধী দল বিহীন নির্বাচন কতটুকু গ্রহনযোগ্যতা পাবে এমন প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার আহসান হাবিব বলেন, সংবিধান রক্ষার জন্য নির্বাচন করা হচ্ছে। ৪৪ টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ৩৯ টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বড় বড় দলগুলো অংশ নিলে ভাল হতো, আমরা তাদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা নির্বাচনে না এলে আমাদের করার কি আছে।
খুলনা গেজেট/ টিএ