মেঘ-বৃষ্টির লুকোচুরিতে ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের দেড় সেশনের মতো খেলা হয়নি। তাতে এই টেস্টেও ড্র আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে এখনো ফলের আশাই করছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। সেই জন্য লঙ্কানদের দ্রুত থামানোর প্রত্যাশা বাংলাদেশের। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা চায় আরো এক সেশন অন্তত ভালো ব্যাটিং করে লিড নিতে। নিজেদের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আজ বৃহস্পতিবার টেস্টের চতুর্থ দিন মাঠে নেমেছে দুদল।
টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ২৮২ রান। দিন শেষে উইকেটে ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন ম্যাথুজ। তাঁর সঙ্গে ১০ রানে আছেন দিনেশ চান্দিমাল। ৮৩ রানে পিছিয়ে থেকে আজ বৃহস্পতিবার টেস্টের চতুর্থ দিন শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দুই উইকেটে ১৪৩ রান নিয়ে গতকাল তৃতীয় দিনের লড়াই শুরু করে শ্রীলঙ্কা। কাল দিনের শুরটা দারুণ হয় বাংলাদেশের। দিনের শুরুতেই লঙ্কানদের জুটি ভাঙেন ইবাদত হোসেন। ফিরিয়ে দেন আগের দিন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে মাঠে নামা কাসুন রাজিথাকে। এরপর থিতু হয়ে যাওয়া দিমুথ করুনারত্নের প্রতিরোধ ভাঙেন সাকিব আল হাসান। জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে প্রথম সেশনে বাংলাদেশকে স্বস্তি দেন সাকিব ও ইবাদত।
ইবাদতের করা দিনের দ্বিতীয় বল মোকাবিলা করতে গিয়ে লাইন মিস করেন রাজিথা। তাঁর ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত করে স্টাম্পে। এরপর করুনারত্নেকে বোল্ড করে ফেরান সাকিব। ১৫৫ বলে ৮০ রান করে ভাঙেন লঙ্কান অধিনায়কের প্রতিরোধ। এরপর অবশ্য আরেকটি জুটি পেয়েছে লঙ্কানরা। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ও ডি সিলভা মিলে গড়েন প্রতিরোধ।
লাঞ্চ বিরতির সঙ্গে সঙ্গে নামে বৃষ্টি। প্রথমে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হলেও ধীরে ধীরে বাড়ে বৃষ্টির বেগ। বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় সেশনে এক বলও মাঠে গড়ায়নি। তৃতীয় সেশনেরও প্রায় অর্ধেক সময় চলে যায় বৃষ্টির পেটে। দীর্ঘ চার ঘণ্টা অপেক্ষার পর বিকেল ৪টায় ফের গড়ায় তৃতীয় দিনের খেলা। তৃতীয় সেশনের খেলা শুরুর পর মাঠে নেমে আবহাওয়ার সুবিধা তেমন কাজে লাগাতে পারল না বাংলাদেশ। উল্টো জুটি গড়ে শক্ত প্রতিরোধ গড়েন ম্যাথুজ ও ডি সিলভা। দুজনে মিলে গড়েন শতরানের জুটি। জমে যাওয়া এই জুটি ভেঙে অবশেষে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফেরান সাকিব। ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে ৫৮ রানে বিদায় করেন সাকিব। ফলে ভাঙে লঙ্কানদের ১০২ রানের জুটি। এরপর ম্যাথুজের ব্যাটে চড়ে দিনের বাকি সময় পার করে শ্রীলঙ্কা।
এর আগে টেস্টের দ্বিতীয় দিন মুশফিকুর রহিমের লড়াইয়ের পর প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করা মুশফিক খেলেছেন ১৭৫ রানের ইনিংস। এ ছাড়া লিটন খেলেছেন ১৪১ রানের ইনিংস।