খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৯ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু
  আরও এক মামলায় খালাস পেলেন ফখরুল-রিজভী-আমির খসরু
  ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে রেণু হত্যা : একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
  ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি মোকাম্মেল ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ
  সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া ২৩ বিচারপতি শপথ নিয়েছেন

উপার্জনের একমাত্র হাতিয়ার ব্যাটারী চালিত ভ্যান হারিয়ে মানবেতর জীবন

গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া

উপার্জনের একমাত্র হাতিয়ার ব্যাটারী চালিত ভ্যান হারিয়ে ৫ সদস্যের পরিবার নিয়ে গত ২ মাস যাবৎ মানবেতর জীবন যাপন করছে চুকনগরের আব্দুল লতিফ গাজী। হারানো ভ্যানটি খুঁজে না পেয়ে সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার দক্ষিণ চুকনগর গ্রামের দিন মজুর আব্দুল লতিফ গাজীর পরিবারে ৩ সন্তানসহ পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫জন। মূলতঃ দিন মজুরী করেই পরিবারের ভরণ পোষণের ব্যবস্থা করতেন তিনি। কিন্তু দুই বছর আগে মেরুদন্ডে আঘাত জনিত সমস্যার কারণে এখন আর কোন কাজ করতে পারেন না। উপায়ন্ত না দেখে ১৪ বছর বয়সী ছেলে সবুজ একটি ব্যাটারী চালিত ভ্যান চালিয়ে যে টাকা উপার্জন করে তাই দিয়ে ৫ সদস্যের পরিবারের রুটি-রুজির ব্যবস্থা হয়ে থাকে। এভাবে কোন মতে দুঃখ কষ্টের মধ্যে হলেও ছেলে সবুজ ভ্যানটিকে হাতিয়ার করেই জীবন যুদ্ধের মাঠে নেমে পড়েছিল।

কিন্তু কথায় বলে চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী। গত ৩১ ডিসেম্বর সারাদিন ভ্যান চালিয়ে সন্ধ্যায় চুকনগর বাজারে কেনাকাটা করতে আসে সবুজ। ভ্যানটি মধ্য বাজারের চাউল হাটা জামে মসজিদের এক পাশে রেখে সে কাঁচা বাজারে যায়। এর ২০/২৫ মিনিট পরে বাজার করে এসে দেখে সেখানে তার ভ্যানটি নেই। এসময় তার মাথায় বজ্রাঘাত হওয়ার মত অবস্থা। এরপর সারা বাজার ও আশপাশে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সবুজ তার ভ্যানটি আর পাইনি। এব্যাপারে পরদিন ১ জানুয়ারী ডুমুরিয়া থানায় একটি অভিযোগ করেন আব্দুল লতিফ।

এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে লতিফ ও তার ছেলে সবুজ জানায়, ভ্যান চুরি হয়ে যাওয়ার পর গত দুইমাস পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহার দিন কাটছে তাদের। কোনভাবে একটি ভ্যানের ব্যবস্থা হয়ে গেলে আবারও জীবিকা নির্বাহ করে পরিবারের ভরণ পোষণের ব্যবস্থা করতে পারবে।

এ প্রসঙ্গে কথা হয়, এলাকার আমিনুল ইসলাম, আব্দুল কুদ্দুস গাজীসহ আরও কয়েক জনের সাথে। তারাও পরিবারটির করুন অবস্থার কথা স্বীকার করেন।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!