খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২০ মে, ২০২৪

Breaking News

  হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিঁখোজ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসি
  বাজারে থাকা এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ, বাজারজাতকারীকে ১৬ লাক টাকা জরিমানা

উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগর সহ উপকূলীয় এলাকায় স্থায়ী বেড়ীবাঁধ নির্মাণ ও সাতক্ষীরা শহরের জলাবদ্ধতার নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে প্রথম আলো বন্ধুসভা।

মঙ্গলবার সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা নিউ মাকের্ট চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন প্রথম আলো বন্ধুসভা সাতক্ষীরার সভাপতি জাহিদা জাহান মৌ।

মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিনিধি কল্যাণ ব্যানার্জি, এটিএন বাংলার নিজস্ব প্রতিনিধি এম. কামরুজ্জামান, হাফিজুর রহমান মাসুম, এম. বেলাল হোসাইন, রবিউল ইসলাম, রাশিদুল ইসলাম, রাহাদ খান বাপ্পা, ফাহাদ বিন, পল্লবী সরকার প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রথম আলো বন্ধু সভা সাতক্ষীরার সহ-সভাপতি মোঃ হোসেন।

বক্তারা বলেন, ‌’আম্পানের ৩ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত উকূলীয় এলাকার ভেঙ্গে যাওয়ার বেড়ীবাঁধ গুলো নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। ষাটএর দশকের পর থেকে উপকূলের জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ গুলোতে শুধু মাটি দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে। যে কারণে দূর্যোগ হলেই বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়ে উপকূলীয় এলাকার মানুষের আর দুঃখ কষ্টের শেষ থাকে না।’

তারা আরো বলেন, ‘আম্পানে ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে আশাশুনির প্রতাপনগর, শ্রীউলা, আনুলিয়া, শ্যামনগরের গাবুরা, পদ্মপুকুর ও কাশিমাড়ী ইউনিয়নের মানুষ প্রায় ৩ মাস পানিবন্দি ছিলো। সম্প্রতি কয়েকদিনের টানা বর্ষণে ও নদ-নদীর জোয়ারের প্রভাবে আরো কয়েকটি স্থান বাঁধ ভেঙ্গে প্রাপনগর ও শ্রীউলাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্লাবিত হয়। প্রতাপনগরের এক টুকরো শুখনা মাটি নেই। মানুষ মারাগেলে তাদের দাফনও করতে পারছে না। এই দূর্ভোগের মূল কারণ পানি উন্নয়ণ বোর্ডের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের লুটপাট।’

বক্তারা বলেন, ‘এসব বাঁধের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও উপকূলে টেকসই বাঁধ নির্মাণ না হওয়ার কারণে অবর্ণনীয় কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার মানুষ। আমাদের একটাই দাবি উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ।’ এই অবর্ণনীয় দুঃখ কষ্টের হাত থেকে উপকূলের মানুষকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!