খুলনা মহানগরীর ডাকবাংলা মোড় সংলগ্ন বিপনী বিতানগুলোতে লকডাউন উপেক্ষা করে ঈদের কেনাকাটায় মানুষের উপচেপড়া ভিড় থাকলেও শিববাড়ি মোড় ও নিউমার্কেটে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। এখানের বিপনী বিতানগুলোতে মানুষের উপস্থিতি সামান্য।
সরেজমিনে নিউমার্কেটে দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানীরা সকাল থেকে দোকান খোলা রাখলেও ক্রেতা সমাগম অনেক কম। শিববাড়ি মোড় সংলগ্ন শো-রুমের বিক্রয় প্রতিনিধিরাও জানান ক্রেতা স্বল্পতার কথা। স্বপ্নীল হাউজের স্বত্তাধিকারী বলেন, “বেচাকেনা কম, সকালে দোকান খুলেছি দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে চলেছে এখনো বহুনি করতে পারিনি। লকডাউন আর গরমের জন্য মার্কেটে তেমন কাস্টমার নেই। এভাবে চলতে থাকলে লাভের মুখ আর দেখা হবে না।”
ইজি শো-রুমের বিক্রয় প্রতিনিধি রেদোয়ান খুলনা গেজেটকে বলেন, “আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাকেনা করার চেষ্টা করছি। দিনের বেলাতে ক্রেতা তেমন আসছে না। তবে সন্ধ্যার পর অল্প সংখ্যক ক্রেতা আসে। আশা করছি ঈদের আগে ক্রেতা সংখ্যা বাড়বে।”
ক্রেতার সংখ্যা কম হলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ উপেক্ষা করে কেউ কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছেন। কথা হয় তেমনি একজনের সাথে। ছেলে-মেয়েকে সাথে নিয়ে মার্কেটে এসেছেন বয়রা এলাকার বাসিন্দা জেসমিন আক্তার। তিনি বলেন, “লকডাউনের মধ্যেও মার্কেটে আসতে হলো। বাচ্চারাতো আর লকডাউন বুঝতে চায়না। ঈদ আসলে তারা নতুন জামা কাপড়ের জন্য বায়না ধরে, তাই বাধ্য হয়ে আসতে হলো আরকি।”
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সংক্রমণ প্রতিরোধে দফায় দফায় বাড়িয়ে এক মাসের লকডাউন চলছে। চলমান লকডাউনের মধ্যে রোববার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিংমল খোলার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। খুলনার শিববাড়ি মোড় ও নিউমার্কেট বিপনি বিতানগুলোতে প্রবেশের আগে কিছু দোকানে স্প্রে করা হলেও শো-রুমগুলোর প্রবেশ মুখে এবং নিউমার্কেটের কোনো গেটেই ছিলো না জীবানুনাশক টানেল।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি