খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২০ মে, ২০২৪

Breaking News

  হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিঁখোজ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসি
  বাজারে থাকা এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ, বাজারজাতকারীকে ১৬ লাক টাকা জরিমানা
.

ঈদের আগে সিন্ডিকেটের খপ্পরে গরীবের বয়লার মুরগি, কেজিতে বাড়ল ৫০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

এবার ২০ রমজানের পর থেকে গরুর মাংসের দাম নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে সামাজিক মাধ্যমে। সিন্ডিকেট ভাঙতে বেশিরভাগ এলাকায় বিত্তশালী ও মধ্যম আয়ের মানুষেরা নিজেরাই সম্মিলিতভাবে গরু কিনে মাংস ভাগাভাগি করছেন। এতে অবশ্য দামের ওপর তেমন প্রভাব পড়েনি।

গরুর মাংসর উচ্চমৃল্য থেকে নিম্ন আয়ের মানুষেরা সন্তুষ্ট ছিলেন বয়লার মুরগি নিয়ে। ঈদে অন্তত বয়লার মুরগির দ্বারা মাংসের স্বাদ মেটানোর পরিকল্পনা করছিলেন তারা। কিন্তু ঈদের আগে গরীবের বয়লার মুরগির ওপরে চোখ পড়েছে সিন্ডিকেটের। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে কেজিতে মুরগির দাম বেড়েছে ৫০ টাকা। গত মঙ্গলবার রাতে খুলনার বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি বয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২৫০ টাকায়। কয়েকদিন আগেও এর দাম ছিলো ২০০ টাকা। অথচ ব্রয়লার মুরগির সরকার নির্ধারিত দাম ১৭৫ টাকা কেজি। আজ চাঁদ রাতে দাম আরেক দফা বাড়ার আশংকা রয়েছে।

ক্রেতারা জানান, রমজানের শুরু থেকে বযলার মুরগি প্রতি কেজি ২০০ টাকা, সোনালী মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা এবং কক মুরগি ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিলো।

গতকাল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার ২৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৮০ টাকা, পাকিস্তানি লেয়ার ৩৫০-৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি মুরগি ৬৩০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি। কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজিতে মুরগির দাম বেড়েছে ৫০ টাকা।

নগরীর ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারে মুরগি ব্যবসায়ী মো. মানিক বলেন, ঈদ সামনে রেখে চাহিদা বাড়ায় খামারিরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমাদের পাইকারিতে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এরপর আবার পরিবহনসহ অন্যান্য খরচ আছে। তাই এখন যেটুকু লাভ না করলেই নয় সে দামে বিক্রি করছি।

বাজারে মুরগি কিনতে আসা জাকির হোসেন বলেন, ঈদে বাসায় আত্মীয়-স্বজন আসবে তাই মুরগি কিনতে এসেছি। বাজারে এসে তো মাথাই খারাপ। কয়েকদিন আগেও যে ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২০০ টাকা কেজি কিনেছি, আজ তা ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের কাছে ক্রেতারা জিম্মি। আমাদের আর কী করার আছে, না কিনেও উপায় নেই। সরকার তো দাম নির্ধারণ করে দিয়েই খালাস। বাজার মনিটরিং না করলে এর কোনো লাভ নেই।

 

খুলনা গেজেট/ এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!