খুলনা, বাংলাদেশ | ২০ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৫ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন

ঈদকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে নীরব চাঁদাবাজির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

ঈদকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার কলারোয়াসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে নীরব চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইটভাটা থেকে শুরু করে ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, ইউপি সচিব, উপজেলার কৃষি অফিস, মৎস্য অফিস, সমাজসেবা অফিস, বিআরডিবি অফিস, একটি বাড়ি একটি খামার, মহিলা বিষয়ক অফিস, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও অফিস), উপজেলা এলজিইডি অফিস, একাউন্টস অফিস, খাদ্যগুদাম, রেজিস্ট্রি অফিস, ইউনিয়ন ভুমি অফিস, আনছার ভিডিপি অফিস, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অফিস, জেলা পরিষদ সদস্যর অফিস, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতির অফিস, প্রাণীসম্পাদ অফিস, এমনকি থানা পুলিশের কিছু সদস্যও রয়েছে তাদের টার্গেটে। এর মধ্যে অনেকেই চাঁদা তুলতে শুরু করেছেন।

এই চাঁদাবজরা টাকা কম হলে জায়গা বিশেষ হুমকিও দিচ্ছে। এসব চাঁদাবাজদের ভয়ে অনেকে মুখ খুলছেন না। তারা অনেকে সহজে মেটাচ্ছেন চাঁদাবাজদের দাবি। তবে জেলার একটি প্রেসক্লাবে এক গ্রæপের ভোটকে কেন্দ্র করে গঠন করা নির্বাচন কমিশনের এক সদস্য উপজেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ৬০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়ে ১৫ হাজার টাকা আদায় করেছেন বলে াভিযোগ উঠেছে। আর এঘটনা উপজেলায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বিগত বছরগুলোর মতো এবারও ঈদকে ঘিরে সক্রিয় চাঁদাবাজদের বিভিন্ন গ্রæপ। এরা সবাই পরিচিত কিংবা মুখ পরিচিত। যে কারণে পুলিশে অভিযোগ করেন না তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভাঁটা মালিক জানান, ১৫ রোজার পর থেকেই শুরু হয়েছে ঈদ সেলামি দেয়া। কেউ কেউ দাবী করছে ১৪টি পাঞ্জাবি দিবেন। আর তা না হলে সম পরিমান টাকা দিবেন। আবার ইফতারীর দাওয়াতি কার্ড দিয়ে টাকা দাবী করা হচ্ছে। এদের চাওনি দেখে মনে হচ্ছে ওরা আমাদের কাছে টাকা পাবেন। না দিলে রেহাই নেই। পত্রিকায় সংবাদ দিবেন। আর তা না হলে মাইক বাজিয়ে মানববন্ধন করবেন।

এদের টাকা না দিলে লাইফ ও ব্যবসার রিস্ক থাকে। প্রতিবার চাঁদা দিয়ে আসছেন। কিন্তু এবার উৎপাত একটু বেশি বেড়েছে। এদিকে চাঁদাবাজদের উৎপাতে রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন কলারোয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যাণগণ। তারা জানিয়েছেন, চাঁদার পরিমাণ বেড়ে তিনগুণ হয়েছে।

কলারোয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক এমএ কালাম বলেন, কিছু সাংবাদিক নামধারী অসাধু ব্যক্তি বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ পেয়েছেন তিনি।

কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছির উদ্দীন মৃধা বলেন, রমজানে ছিনতাই, টানা পার্টিসহ সব ধরণের অপরাধ দমনে পুলিশ বরাবরের মতো বিশেষ টহলের ব্যবস্থা করেছেন। রাতে বাজার নিরাপত্তায় পুলিশ কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত কলারোয়াতে বড় ধরণের কোন অপরাধ ঘটেনি। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কলারোয়াতে যদি আমরা থাকি তবে কোনো চাঁদাবাজ থাকতে পারবে না। চাঁদাবাজ যেই হোক, অভিযোগ পেলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে পুলিশের অবস্থান জিরো টলারেন্স। এদিকে কেউ কাউকে ভয়দেখিয়ে টাকা পয়সা দাবী করে হুমকি ধামকি দিলে তাৎক্ষণিকভাবে কলারোয়া থানা পুলিশ (ওসি)-০১৩২০১৪২২০৫, উপজেলা নির্বাহী অফিসার-ইউএনও-০১৭০৯৩১৯৭৩৯ ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান- ০১৭১২২০২৯০৭ এর জানানোর জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!