ইয়াছিন আরাফাত হত্যার অভিযোগে পুলিশ এজাহারনামীয় তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার গভীর রাতে তাদের মোংলা ও নিরালা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের সকলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাতে নিহতের পিতা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তার হওয়া তিন কিশোর হল, লবনচরা গ্রীনভিউ আবাসিক এলাকার গোলাম আকবরের বাড়ির ভাড়াটিয়া সোলাইমানের ছেলে মো: ইব্রাহিম ওরফে এলএক্স কাটার ওরফে নিরব (১৯). শেখপাড়া এলাকার ফরিদের বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুল্লাহ ও ৩ নং কাশেম সড়কের তানভীরের বাড়ির ভাড়াটিয়া টুটুল হাওলাদারের ছেলে সজীব ওরফে আশিক ওরফে জার্বি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আব্দুল হান্নান বলেন, নিহত ইয়াছিনের সাথে আসামিদের পূর্বের একটা দ্বন্দ্ব ছিল। সেই দ্বন্দ্বের জের ধরে শুক্রবার সকালে তাকে হত্যা করে। হত্যা করে তারা স্বাভাবিকভাবে যে যার মতো পালিয়ে যায়। রাতে নিরালা থেকে আব্দুল্লাহ ও সজীব ওরফে জার্বিকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকান্ডের নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। পরে রাত সাড়ে ৩ টার দিকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইব্রাহিমকে মোংলা থেকে আটক করা হয়। তিনি আরও বলেন, মামলার অপর আসামি সাকিবকে গ্রেপ্তার করতে পারলে হত্যাকান্ডের মূল রহস্য বের হয়ে যাবে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা কিশোর হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করা যায়নি। হত্যাকান্ডের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসামিদের একজনের কাছে ১শ’ টাকা পাইত ইব্রাহিম। সেটা চাওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে খুন করে। হত্যাকান্ডের স্থান থেকে তারা একটি ইজিবাইক উদ্ধার করেছে। সেটি আসামি সাকিবের বলে গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনই উল্লেখ করছে।
শুক্রবার সকালে দুর্বৃত্তের ধারলো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হয় ইয়াছিন আরাফত। রাতে নিহতের পিতা বাদী হয়ে খুলনা থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
খুলনা গেজেট/এসজেড