খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ড. ইউনূস ১৮ কোটি জনগণের, পদত্যাগ চাই না : ফারুক
  ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

ইন্দোনেশিয়ার ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

গেজেট ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছে রিখটার স্কেলে ৫ দমমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)। শুক্রবার (২৩ মে) ভোররাতে আঘাত হানা এই কম্পনে শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এতে এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ২টা ৫২ মিনিটে সুমাত্রা দ্বীপের কাছে ওই ভূমিকম্প আঘাত হানে। সুমাত্রার বেনগকুলু প্রদেশের উপকূলে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৮ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে।

দেশটির আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা বলেছে, সুমাত্রা দ্বীপের কাছে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। আর ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮৪ কিলোমিটারে গভীরে। তবে এই ভূমিকম্পে সুনামির কোনও শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শুক্রবার (২৩ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার (বিএনপিবি) মুখপাত্র আব্দুল মুহারী বলেছেন, ভূমিকম্পে বেনগকুলু শহরে শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া অন্তত ৬টি সরকারি স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, বেনগকুলুর কেন্দ্রীয় জেলায় দুটি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পের পর শুক্রবার সকাল পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

ভূমিকম্পের সময় স্থানীয় অনেক বাসিন্দা ঘুম থেকে উঠে তড়িঘড়ি করে বাড়ির বাইরে ছুটে যান। সুমাত্রার ৩৬ বছর বয়সী স্থানীয় বাসিন্দা এরিক চাতুর নুগ্রোহো এএফপিকে বলেছেন, ভূমিকম্পের সময় আমাদের বাড়ির জানালা প্রচণ্ড কাঁপছিল। কম্পনের তীব্রতায় ঘুম ভেঙে যায়। আমরা সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের নিয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যাই। এ সময় প্রতিবেশীদেরও বাড়ির বাইরে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছেন বলে জানান তিনি।

২৭ কোটি মানুষের দেশ ইন্দোনেশিয়া বিস্তীর্ণ দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ‘রিং অফ ফায়ার’-এ অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়া ঘন ঘন ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ নিয়ে নানা দুর্যোগের মুখোমুখি হয়। ‘রিং অফ ফায়ারে’ অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় টেকটোনিক প্লেটগুলোর প্রায়ই সংঘর্ষ হয়।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে দেশটির সুলাওয়েসি দ্বীপে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে ১০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ওই ভূমিকম্পে দেশটির হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন।

এর আগে, ২০১৮ সালে একই দ্বীপের পালু শহরে সাড়ে ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে ২ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। ২০০৪ সালে আচেহ প্রদেশে ৯ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ইন্দোনেশিয়ায় প্রাণ হারান ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ।

খুলনা গেজেট/এমএনএস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!