নাম রবার্ট ওয়াডলো। কেউ কেউ তাকে ‘দ্য জায়ান্ট অব ইলিনয়েস’ বলেও চেনেন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের এই লোকটিই পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘকায় মানুষ। তার উচ্চতা ছিল ৮ ফুট ১১ ইঞ্চি। সম্প্রতি তার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। টুইটার পেজ ‘হিস্ট্রি ইন কালার’-এ এই ছবিটি পোস্ট করা হয়। এতে ওয়াডলো ও তার পরিবারের একটি ছবি রঙিন করে প্রকাশিত হয়। এরপরই ওই ছবিটি শেয়ার করে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। তারা ক্যাপশনে লেখে, বিশ্বের ইতিহাসের সবথেকে লম্বা মানুষটি এক অসাধারণ ছবি।
ওয়াডলোর জন্ম হয়েছিল আর দশটা স্বাভাবিক শিশুর মতোই। ১৯১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি জন্মের সময় তার ওজন ছিল ৩ দশমিক ৮৫ কেজি।
বয়স পাঁচ বছর হতে না হতেই ওয়াডলোর উচ্চতা দাঁড়ায় ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। এ জন্য শিশু বয়সে তাকে কিশোরদের জন্য তৈরি পোশাক পরতে হতো। মাত্র আট বছর বয়সে তিনি তার ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি লম্বা বাবাকে ছাড়িয়ে যান। ১৭ বছর বয়সে এ কিশোরের উচ্চতা দাঁড়ায় ৮ ফুট ০.৫ ইঞ্চি। এর ফলে পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা কিশোরে পরিণত হন তিনি। ওয়াডলোর এমন দীর্ঘকায় শারীরিক গঠনের পেছনে মূল কারণ পিটুইটারি গ্লান্ডের হাইপারপ্লাসিয়া। এর প্রভাবে তার দেহে শারীরিক বৃদ্ধির জন্য দায়ী হরমোনের পরিমাণ ছিল অস্বাভাবিকভাবে বেশি।
মাত্র ২২ বছর বয়সে ১৯৪০ সালের ১৫ জুলাই মিশিগানের একটি হোটেলে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর কারণ ছিল পায়ের ফোঁড়া। ১৯৮৬ সালে তার আসল আকারে আল্টন কলেজ এভিনিউতে একটি স্ট্যাচু বানানো হয়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্বের সবথেকে লম্বা মানুষ সুলতান কোসেন, যার উচ্চতা ৮ ফুট ২.৮২ ইঞ্চি। তিনি তুরস্কের একজন কৃষক।