পাওনা ২৬ হাজার টাকা চাওয়ায় আলাউদ্দিন রানাকে গালমন্দ করে নিহত আইয়ুব আলী মোল্লা। এর প্রতিশোধ নিতে আইয়ুবকে খুন করার পরিকল্পনা মাথায় আসে তার। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ১৬৪ ধারায় আদালতে হত্যাকান্ডের বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরে রানা। জবানবন্দি রেকর্ড করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মোঃ মনিরুজ্জামান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বটিয়াঘাটা থানার এসআই মোঃ আবু জাফর জবানবন্দির বরাত দিয়ে জানান, আলাউদ্দিনের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা ধার নেয় আইয়ুব। এরপর আরও এক হাজার টাকা ধার নেয়। ধারের টাকা চাইলে আলাউদ্দিনকে গালমন্দ করে সে। টাকা উদ্ধারের পরিকল্পনা করে আলাউদ্দিন। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডেকে নিয়ে জলমা ইউনিয়নের খালপাড় মসজিদ সংলগ্ন সুলতান আক্তারের পরিত্যক্ত প্লটে নিয়ে হাতুড়ি পেটা করে তাকে হত্যা করা হয়।
যেভাবে গ্রেপ্তার হয় রানা :
ইজিবাইক চালক আইয়ুবের লাশ পাওয়ার পর পুলিশ বটিয়াঘাটা উপজেলায় সোর্স নিয়োগ করে। আ্ইয়ুব ওই এলাকার মাসুদের ইজিবাইক চালাতো। মাসুদ শুক্রবার সকালে ভিকটিমের ব্যাপারে ফোন দেয় রানাকে। অপর প্রান্ত থেকে জানানো হয়, তার কোন খবর নেই। এরপর ফোন বন্ধ রাখে সে। রানার ওপর সন্দেহ হয় বাইক মালিকের। কারণ তারা একে অপরের খুব ঘনিষ্ঠ। এর আগে ঘটনার দিন রাতে পুরোনো ইজিবাইক ক্রয় করার কথা বলে মল্লিকের মোড়ে নুর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ থেকে ১১ শ টাকার বিনিময়ে সমস্ত ইজিবাইক পার্ট পার্ট করে কেটে ফেলে সে। এরপর সেগুলো আবার বিক্রি করে দেয় রানা। মল্লিকের মোড় থেকে ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ পালিত মায়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে রানাকে।
খুলনা গেজেট/এএ