খুলনা মহানগরীতে ইজিবাইক চালকদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে এবার হুশিয়ারি দিয়েছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে ইজিবাইকের লাইসেন্স বাতিলসহ আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলা হয়েছে।
নতুন বছরের প্রথম দিন হতেই যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন নগরীর ইজিবাইক চালকেরা। সোনাডাঙ্গা থেকে গল্লামারী কিংবা গল্লামারী থেকে ময়লাপোতা মোড় পর্যন্ত যে ভাড়া ছিলো ৫ টাকা সেখানে নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা। এভাবে মহানগরীর প্রতিটি রুটেই পূর্বের যে ভাড়া ছিলো ১০ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা, ১৫ টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা।
১ জানুয়ারি শুক্রবার ইজিবাইক চালকদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় প্রসঙ্গে প্রতিবেদন প্রকাশ করে খুলনা গেজেট। এরপর সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে নড়ে চড়ে বসেন কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার (৬ জানুয়ারি) খুলনার কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে চালকদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় প্রসঙ্গে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ‘বিশেষ বিজ্ঞপ্তি’। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সম্প্রতি কিছু ইজিবাইক চালক যাত্রীদের থেকে অধিক হারে ভাড়া আদায় করছেন এবং এ নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনার উদ্ভব হচ্ছে। বেশী ভাড়া আদায় করা হলে কর্পোরেশন থেকে ইজিবাইকের লাইসেন্স বাতিল করাসহ আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সকলকে আইন মেনে ইজিবাইক চালনা ও অধিক ভাড়া না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।”
এদিকে মহানগরীর গল্লামারী, সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, ময়লাপোতা মোড় ঘুরে আজ বিকেল-সন্ধ্যায় জানা যায়, এখনো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে ইজিবাইক চালকেরা।
চালক পলাশ বলেন, “করোনার কারণে আগের চেয়ে যাত্রী সংখ্যা কম ওঠে গাড়িতে। তাছাড়া গল্লামারী দিয়ে সিটি কর্পোরেশনের রেজিস্ট্রেশন বিহীন অনেক গাড়ি ঢোকে। যাদের কারণে আমরা যাত্রী কম পাই। সিটি কর্পোরেশনের রেজিস্ট্রেশন নেই এমন গাড়ি শহরে ঢোকা বন্ধ করলে আমাদের ইনকাম কিছুটা বাড়বে। তখন অতিরিক্ত ভাড়া না নিলেও আমাদের চলবে।”
ইজিবাইক চালক সোহেল বলেন, “রাস্তায় মানুষের চেয়ে গাড়ি বেশি। কাল সারাদিনে ইনকাম করছি ৭০০ টাকা, গাড়ি ভাড়া দিছি ৫৫০ টাকা। ১৫০ টাকায় এহন সংসার চলে!”
তবে চালকদের এসব অজুহাতের সাথে যাত্রীরা কোনভাবেই একমত নয়। তারা এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কঠোর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম