নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১১ এপ্রিল প্রথম ধাপে দিঘলিয়া উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। তফসিল ঘোষণা না হলেও উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের ন্যায় দিঘলিয়া উপজেলার সর্ববৃহৎ সেনহাটী ইউনিয়নেও আগাম নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন অনেক আগে থেকেই। এলাকার রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, খেয়াঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে শোভা পাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ডিজিটালাইজড প্যানা, ব্যানার, বিলবোর্ড ইত্যাদি।
নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী আসন্ন ইউপির ভোটও হবে দলীয় প্রতীকে। চেয়ারম্যান বা মেম্বার প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক নয়। এই সুযোগে অনেক স্বল্প শিক্ষিতরাও চেয়ারম্যান এবং মেম্বার প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মরিয়া হয়ে উঠেছেন দলীয় মনোনয়ন লাভের আশায়। সম্ভাব্য এ সব প্রার্থীরা নিশ্চিত ধারণা করে বসে আছেন দলীয় মনোনয়ন পেলে চেয়ারম্যান নিশ্চিত। তাই যে যার মতো করে স্থানীয় সংসদ সদস্য জেলা উপজেলা এবং তৃণমূল নেতাদের আশীর্বাদ এবং সমর্থন লাভের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত ইউপি নির্বাচনে অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং রাজনীতিতে অপরিচিত মুখ গাজী জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া গাজী প্রথমবারের মতো দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে অত্র ইউপি থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচনে তিনি ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীকে ডিঙিয়ে দলীয় মনোনয়ন লাভ করেছিলেন।
এ ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ৩৩ হাজার ৩১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ৭৭৭ জন এবং মহিলা ভোটার ১৬ হাজার ৫৩৭ জন। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এ ইউনিয়নে ৮ জনের নাম শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের ৬ জন এবং বিএনপি’র ২ জন।
সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ নেতা গাজী জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া গাজী, জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত কার্যকরী কমিটির সদস্য ও প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হালিমের সহধর্মিনী ফারহানা হালিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মোল্যা আকরাম হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য মইনুল ইসলাম জুয়েল, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি গাজী মাসুদ রানা এবং আওয়ামী লীগ সমর্থক মোঃ বজলুর রহমান।
বিএনপির সম্ভাব্য দুই প্রার্থী হলেন উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক ও প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রকিব মল্লিক ও বিএনপি সমর্থক মাসুম গাজী। অন্যদিকে এ ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডে মেম্বার এবং সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে অর্ধ শতাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।
ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পর্কে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি খান নজরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পর্কে দলীয়ভাবে আমাদের কাছে এখনো কোনো নির্দেশনা আসে নাই। দল যেভাবে নির্দেশ দেবে সেভাবে আমরা প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করবো।’
বিএনপির প্রার্থী বাছাই সম্পর্কে মুঠোফোনে উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মোঃ সাইফুর রহমান মিন্টু এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘প্রত্যেক ইউনিয়নে আমরা দলীয়ভাবে প্রার্থী দেবো তবে এখনো আমরা প্রার্থী ঠিক করি নাই।’
খুলনা গেজেট/কেএম/এনএম