খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও এমএম সিটি কলেজের সাবেক ভিপি, চিতলমারী উপজেলা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলমগীর সিদ্দিকীর উপর বাদশা বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন খুলনা প্রেসক্লাব (শহিদ সাংবাদিক হুমায়ুন কবির বালু) মিলনায়তনে সোমবার বেলা ১টায় অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মো: আবু জাফর আলমগীর হোসেন সিদ্দিকী এর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এ্যাড. মো: কামাল হোসেন। লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলমগীর সিদ্দিকীর উপর গত ১৯ মার্চ ২০২১ তারিখ দুপুরবেলা চিতলমারী উপজেলা চত্ত্বরে অস্ত্রসস্ত্রে সু-সজ্জিত হয়ে মো: বাদশা সেখ এক থেকে দেড়শ চিহ্নিত সন্ত্রাসী নিয়ে আক্রমণ করে। নির্বাচনী কার্যালয় যাচাই-বাছাইয়ের দিন ধার্য ছিলো। সেই মোতাবেক আমি আমার চিতলমারী তথা কলাতলা ইউনিয়নের জনগনকে সাথে নিয়ে নির্বাচন অফিসে উপস্থিত হই। বাংলাদেশের নির্বাচনী আচারণ বিধিকে সম্মান জানিয়ে আমি এবং আমার ২জন বিজ্ঞ আইনজীবী, প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী নিয়ে রিটারিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রবেশ করার আগমুহূর্তে সন্ত্রাসী বাদশা, তার আপন ছোটভাই মাদক ব্যবসায়ী সোহেল, ওলি, রুবেল, রুহুল, রফিক, সাগর, সবুজ, আলামিনসহ প্রায় দেড়শ জন সন্ত্রাসী বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে আমাকে ও বিজ্ঞ আইনজীবী, প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর উপর হামলা করে এবং মারাত্মকভাবে আহত করে। আমাকে জোরপূর্বক মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার জন্য মারপিট করে এবং দীর্ঘ সময় জিম্মি করে রাখে। আমার প্রাণপ্রিয় চিলতলমারী তথা কলাতলা ইউনিয়নের নির্যাতিত জনগণ খবর পেয়ে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করে। খুলনা মেডিকেলে ভর্তি অবস্থায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার ব্যবস্থা করা হলে, চিতলমারী থানা মামলা গ্রহণ করেনি। চর চিংগড়ী গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র বাদশা সেখ কৈশোর থেকে ভয়ঙ্কর রূপে আর্বিভাব হতে থাকে। বহুবার তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য জেলে যেতে হয়েছে। তারপরেও তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেমে থাকেনি। সে নিজ গ্রামে চর চিংগড়ীতে আলকাস সেখ নামে একজন নিরীহ মানুষের হাত কেটে নিয়েছে এবং কাউসার সেখ নামে আরেক জনের পা কেটে নিয়েছে। তারা এখনও পঙ্গুত্ববরণ করে বেঁচে আছে। বাদশার হামলা থেকে কলাতলা ইউনিয়নের নিরাহ জনগণ বাঁচতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান।