২০২১ সালে বাংলাদেশের বৃহত্তর সংবাদ সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অফ বাংলাদেশ ইউএনবি’র সেরা সংবাদদাতা নির্বাচিত হয়ে পুরষ্কৃত হয়েছেন খুলনা প্রতিনিধি এবং খুলনা গেজেটের যুগ্ম সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক শেখ দিদারুল আলম। এর আগে ২০১৪ ও ২০১৭ সালে দিদারুল আলম ইউএনবির ৬৪ জন জেলা সংবাদদাতাদের মধ্যে ইউএনবি’র বিশেষ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
খুলনায় সিনিয়র সাংবাদিকদের মধ্যে দিদারুল আলম অন্যতম। ১৯৭৭ সালে অনার্স পড়াকালীন তিনি দৈনিক জনবার্তার মাধ্যমে সাংবাদিকতায় পথচলা শুরু করেন এবং একই বছর তিনি অবিভক্ত খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য পদ লাভ করেন। তিনি ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৬ সাল অবধি এবং ২০০১ সাল থেকে ২০০৭ সাল অবধি বাংলাদেশ টেলিভিশনের খুলনা সংবাদদাতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দৈনিক দিনকাল ও দৈনিক জনতা এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসস’র খুলনা প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করেন।
তিনি ১৯৯৩ সালে খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সময়ে খুলনা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি সহ গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দু’বার বিএফইউজে’তে সর্বাধিক ভোটে নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
শেখ দিদারুল আলম ১৯৯০ সাল থেকে ইউএনবির সাথে জড়িত। তিনি পিআইবি, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট ( নিমকো) ও নিউজ নেটওয়ার্ক সহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের শতাধিক প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন। বর্তমানে নিউজ নেটওয়ার্কের খুলনার কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে আছেন।
দিদারুল আলমের জন্ম ২৫ ফেব্রুয়ারী ঐতিহ্যেবাহী দরগারপুরের নানা বাড়িতে। লেখাপড়া করেছেন খুলনার খালিশপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, বয়রা হাজী ফয়েজ উদদীন স্কুল, সেন্ট জোসেফ স্কুল, বিকে স্কুল, সুন্দরবন কলেজ, বি এল কলেজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা সিটি ল কলেজে। তিনি Political Science-এ এম এ ডিগ্রি লাভ করেন। আইনে ডিগ্রি লাভ করার পর খুলনা বারে যোগদান করেন তিনি।
সাংবাদিকতা নেশা থেকে পেশায় পরিণত করেন। সাংবাদিকতার কারনে তিনি প্রথম তিনটি চাকরি ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি আঞ্চলিক ও জাতীয় দৈনিকে নিবন্ধ লেখেন। তিনি বি এল কলেজের টিভি বিতর্ক দলের সদস্য ছিলেন। মজার বিষয়, এই টিভি বিতর্কে অংশগ্রহণ করতে যেয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বিএল কলেজ ছাত্র সংসদে তিনবার নির্বাচিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক। বর্তমানেও নিজেকে সাহিত্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত রেখেছেন। খুলনার নিরালার প্রান্তিকা নিজের বাড়িতে বসবাস।
দিদারুল আলম সাংবাদিক করার পিছনে খুলনার সৈয়দ সোহরাব আলী, আশরাফ উদ্দীন মকবুল, আবু সাদেক, সাহাবুদ্দীন আহমেদ, মাহমুদ আলম খান, আইয়ুব হোসেন, হুমায়ুন কবির বালু ও ফেরদৌসি আলী এবং ঢাকার এনায়েত উল্লাহ খান, গিয়াস কামাল চৌধুরী ও আহমেদ হুমায়ুনের দিক নিদর্শনার কথা বলেন।