খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪

Breaking News

  করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১
  তিন জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৭ জনের
  রাঙামাটিতে সশস্ত্র হামলায় ইউপিডিএফ সদস্যসহ নিহত ২

ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলার ঘটনায় আটককৃতরা কারা?

গেজেট ডেস্ক

দিনাজপুরে ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন ৪ জনকে আটক করেছে, র‌্যাব ও পুলিশ। পৃথক পৃথকভাবে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে তিনজন যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আরেকজন ইউএনও’র বাসভবনের নৈশ্য প্রহরী।

শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টায় সন্দেহভাজন প্রধান আসামী আসাদুল হককে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি সীমান্তের চুড়িপট্রি এলাকা থেকে র‌্যাব আটক করে। তার বাড়ি ঘোড়ঘাট উপজেলার ৪ নং ঘোড়াঘাট ইউপি’র সাগরপুর গ্রামে। তার বাবার নাম আমজাদ হোসেন। আসাদুল যুবলীগের কর্মী বলে জানা গেছে।

এর আগে ঘোড়াঘাট থেকে জাহাঙ্গীর ও মাসুদ রানা নামে আরও দু’জনকে আটক করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জাহাঙ্গীর ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক এবং মাসুদ ঘোড়াঘাট সিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা। জাহাঙ্গীর ২০১৭ সাল থেকে ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। ঘোড়াঘাট কাছিগাড়ি গ্রামের আবুল কালামের ছেলে জাহাঙ্গীর এবং মাসুদ ঘোড়াঘাট উপজেলার দক্ষিণ দেবিপুর গ্রামের আদু মিয়ার ছেলে। এর আগে বৃহস্পতিবার দিনাজপুর ডিবি গোয়েন্দা পুলিশ ইউএনও’র বাসভবনের নৈশ্য প্রহরী পলাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ইমাম আবু জাফর।

ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিরামপুর, হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট থানার পুলিশের একটি দল শুক্রবার ভোরে হাকিমপুর উপজেলার কালিগঞ্জ এলাকায় বোনের বাসা থেকে আটক করে আসাদুলকে। আর দিনাজপুরের র‍্যাবের সদস্যরা জাহাঙ্গীর হোসেনকে তার নিজ বাসা থেকে আটক করেন। তিনি বলেন, আটক দুজনকে রংপুর র‌্যাব কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ইউএনও ওয়াহিদা খানম এর উপর হামলা ঘটনায় তার ভাই ফরিদ শেখ ঘোড়াঘাট থানায় গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টায় একটি মামলা করেছেন। তবে.মামলায় কারো নাম উল্লেখ নেই বলে জানান, ওসি আমিরুল ইসলাম।

বুধবার দিনগত রাত ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে অবস্থিত ইউএনওর বাসভবনের টয়লেটের ভেল্টিলেটর ভেঙে দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করে। ইউএনও টের পেলে দুর্বৃত্তরা তাকে সরাসরি ধারাল অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এ সময় তার বাবা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা তাকেও আঘাত করে পালিয়ে যায়। রাতেই রক্তাক্ত ইউএনওকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয়। ইউএনও ওয়াহিদা খানমের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির হাসপাতালটির চিকিৎসকরা। ওয়াহিদা খানমের অস্ত্রোপচারের পর রাতেই জ্ঞান ফিরেছে। বর্তমানে হাসপাতালের আইসিইউতে তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। তার অবস্থা স্থিতিশীল।

রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের উপপরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম জানান, ইউএনও ওয়াহিদার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার পর্যায়ে এখনও আসেনি। তাকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এরপর মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। তার অবস্থা স্থিতিশীল। ইউএনও ওয়াহিদার অস্ত্রোপচার শেষ করার পর রাতেই আইসিইউতে আনা হয়েছে এবং রাতেই তার জ্ঞান ফিরেছে। শনিবার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি।

খুলনা গেজেট / এমএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!