ইংল্যান্ডের সামনে ব্যাটঁ হাতে খেই হারিয়ে ফেলার ম্যাচে ১৮৯ রানের লড়াকু লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে এবারে বল হাতে বিশ্বকাপজয়ীদের চ্যালেঞ্জ করছে বাংলাদেশ। রান তাড়া করতে নেমেই ওপেনার মালানকে হারাল ইংল্যান্ড।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই মোস্তাফিজুর রহমান তুলে নিয়েছেন ডাওয়িড মালানের উইকেট। মুস্তাফিজের বলে তানজিদের ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে ৪ রান করেন তিনি। এতে করে দলীয় ৫ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ইংলিশরা।
এরপর তাণ্ডব চালিয়েছে বেয়ারস্টো। তবে ইংলিশ ওপেনারের তাণ্ডব থামান মুস্তাফিজ। ফেরার আগে ২১ বলে ৩৪ রান করেন বেয়ারস্টো। ১৭ রানে হ্যারি ব্রুককে বোল্ড করেন হাসান মাহমুদ।
১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০০ রানে ব্যাট করছে ইংল্যান্ড। ক্রিজে রুটের সঙ্গী বাটলার।
এর আগে গুয়াহাটির বারসাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। দলীয় ২৬ রানেই লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তকে হারাতে হয়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
দ্রুত দুই উইকেট হারানোয় বিপর্যয়ের চোখ রাঙ্গানি দেখতে থাকা বাংলাদেশের জন্য ত্রাতা হয়ে আসেন তানজিদ হাসান তামিম। মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে সচল রাখেন রানের চাকা।
৪৪ বলে ৪৫ করে তামিম বিদায় নিলেও উইকেটের একপ্রান্তে থিতু হয়ে বসে অর্ধশতকের কোটা পূর্ণ করেন মিরাজ। একপ্রান্ত তিনি আগলে ধরে রাখলেও অপরপ্রান্ত থেকে হতাশ করেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
মুশফিক মাঠ ছাড়েন ৮ রান করে আর রিয়াদ সাজঘরের পথ ধরেন ১৮ রানে। আর তাতেই দেড়শ রানের আগেই পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে বাংলাদেশের।
বৃষ্টিতে তিন ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকার পর খেলা মাঠে গড়ানোর পর পাঁচ ওভারের মাথায় সাজঘরের পথ ধরতে হয় তাওহীদ হৃদয়কে। খেই হারিয়ে ৮৯ বলে ৭৪ করে মাঠ ছাড়তে হয় মিরাজকেও।
এরপরই শুরু হয় টাইগার শিবিরে আসা যাওয়ার মিছিল। ৩ রান করে সেই মিছিলে শামিল হন শেখ মাহেদী। আর রানের খাতা না খুলেই তাকে অনুসরণ করেন নাসুম আহমেদও।
শেষদিকে তাসকিনের ১২ রানের সুবাদে ইংল্যান্ডের সামনে ১৮৮ রানের লড়াকু পুঁজি দাঁড় করাতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
খুলনা গেজেট/এমএম