সাধু প্যাট্রিক তাঁর বিশ্বাসের জোরে আয়ারল্যান্ডের সব সাপ সাগরে পাঠিয়েছিলেন। এমন কিংবদন্তি প্রচলিত থাকলেও তা সম্ভব নয়। কারণ, আয়ারল্যান্ডে প্রাকৃতিকভাবে কখনো কোনো সাপ ছিল না।
একইভাবে হাওয়াই, আইসল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, গ্রিনল্যান্ড কিংবা অ্যান্টার্কটিকাতেও সাপ নেই। এর একটা কারণ, এগুলো দ্বীপরাষ্ট্র। তবে আয়ারল্যান্ড কোনো এক সময় বৃহত্তর ভূভাগের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সেটা বরফযুগের ঘটনা। তখন দেশটি এত শীতল ছিল যে শীতল রক্তের সরীসৃপ টিকতে পারত না।
বরফযুগ শেষ হয়েছে তা-ও হাজার দশেক বছর হয়ে গেল। এর মধ্যে হিমবাহ গলেছে। তবে সেই বরফগলা পানি এখনো আছে আয়ারল্যান্ডের চারপাশের সাগরজলে। পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে হিমশীতল পানি পাড়ি দিতে পারেনি সাপগুলো।
কোনোভাবে বুনো শূকর, বনবিড়াল আর বাদামি ভালুক আয়ারল্যান্ডে পৌঁছেছিল। সরীসৃপগুলোর মধ্যে এই অসাধ্য সাধন করতে পেরেছিল কেবল গিরগিটি। তবে সাপ পারেনি।
প্রাকৃতিকভাবে সাপ নেই বলে দেশটিতে সাপ পোষা মর্যাদার প্রতীক। বড় বড় পোষা সাপ ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার অসংখ্য প্রতিবেদন পাওয়া যাবে ইন্টারনেট ঘাঁটলে। কেউ কেউ নিজ উদ্যোগেও পোষা সাপ ছেড়ে দেন। তবে এখন পর্যন্ত প্রকৃতিতে সাপ আস্তানা গেড়েছে, এমন খবর মেলেনি।
খুলনা গেজেট/কেএম