আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ঐকমত্যে পৌঁছাতে অনুরোধ করেছে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)।
রাজধানীর গুলশানে গতকাল বুধবার রাতে দুই দলের প্রতিনিধিদের মধ্যে এক বৈঠকে এ অনুরোধ জানানো হয়।
বৈঠকে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মাহবুবুল আলম হানিফ, মির্জা আজম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানা যায়নি। তবে জাপা মহাসচিব চুন্নুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আজ জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সাংবাদিকদের তিনি ব্রিফ করবেন।
মাহবুবুল আলম হানিফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘জাপা নেতারা নির্বাচনে সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা এবং অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস চেয়েছে।’
‘আমরা তাদের অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছি,’ বলেন হানিফ। তিনি দাবি করেন, আসন ভাগাভাগি নিয়ে জাপা নেতারা কোনো আলোচনা করেননি।
তবে জাতীয় পার্টি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ যেন ৩০-৩৫টি আসনে প্রার্থী না দেয় এমন দাবি করা হয়েছে, যেন জাপা নেতারা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ওইসব আসন পেতে পারে।
বৈঠকের পর দলের একাধিক কো-চেয়ারম্যান গুলশান-২ এ দলের এক নেতার বাসায় তাদের পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করেন বলেও সূত্র জানায়।
দলের অভ্যন্তরীণ অনেকে বলছেন, নির্বাচনে শীর্ষ নেতাদের জয় নিশ্চিত করা কঠিন মনে হলে, শেষ মুহূর্তে ভোটের দৌড় থেকে জাপা সরেও যেতে পারে।
২০১৮ সালের নির্বাচনে জাপা প্রার্থীদের পথ সহজ করতে ২৬টি আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে ২১টিতে জয়ী হন জাপা মনোনীত প্রার্থীরা।
ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ উভয় দলের প্রার্থীই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এমন ১৪৫টি আসনে জাপা প্রার্থীরা জামানত হারিয়েছেন।
এবার আওয়ামী লীগ প্রায় সব আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। সব আসনে জাপার প্রার্থীও আছে।
খুলনা গেজেট/এনএম