সাতক্ষীরার আশাশুনিতে টেকসই বেড়িবাঁধ পুননির্মাণ ও সুপেয় পানির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় আশাশুনির উপজেলা সদরে উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম, আশাশুনি নাগরিক সমাজ ও জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি সম্মিলিতভাবে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। এসময় তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স।
মানববন্ধনে আশাশুনি নাগরিক সমাজের সভাপতি প্রাক্তন অধ্যক্ষ রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক সমাজের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা অধিপরামর্শ ফোরামের সম্পাদক, জি এম আল ফারুখসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আম্ফানের আঘাতে পানি উন্নয়র বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গৃহহীন হয়ে পড়েছে খোলপেটুয়া নদী ও কপোতাক্ষ নদ পরিবেষ্টিত সাতক্ষীরার প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজারো পরিবার। এখানকার গৃহহীনদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পৈত্রিক ভিটে ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে অন্যত্র। একটি বড় অংশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের ওপর মাথা গোঁজার ঠাঁই করেছে। গত মে মাস থেকে এখানকার হাজারো পরিবার গৃহ হারিয়ে হাতাশার মধ্যে কাটাচ্ছে। যদিও ইউনিয়ন পরিষদ ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা উর্ধ্বতন মহলে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে।
তারা আরো বলেন, সিডর, আইলা, মহসেন, বুলবুল ও সর্বশেষ আম্ফান প্রতাপনগরের ওপর আঘাত হানে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে আঘাত হানায় প্রতাপনগর বারাবর সংবাদ শিরোনাম হয়েছে। দক্ষিণ সীমানার হরিষখালী, কুড়িকাহুনিয়া, কোলা, হিজলা, সুভদ্রাকাটি ও চাকলার বাঁধ বারবার ভেঙ্গেছে। অমাবস্যা অথবা পূর্ণিমায় বড় ধরণের ধাক্কা দিলে হরিষখালীর বাঁধ ভেঙ্গে যায়। প্লাবিত হয় এলাকা। টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রায় প্রতি বছর বাঁ ভাঙ্গার ঘটনা ঘটে।
মানববন্ধনে উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ পুননির্মাণ, সুপেয় পানির নিশ্চয়তা, প্রকৃত মৎস্যজীবীদের তালিকা হালনাগাদ করা, আশাশুনি বাজারের স্থায়ী হাটের জায়গা নির্ধারণ ও উপকূলীয় অঞ্চলকে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়।
খুলনা গেজট/এমএইচবি