খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেছেন, অধ্যাপক আবু সুফিয়ান ছিলেন শ্রমিক বান্ধব একজন নেতা। তিনি খুলনা সহ দক্ষিণাঞ্চলের শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ করে বঙ্গবন্ধু’র ডাকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন খুলনায় স্বাধীনতা যুদ্ধকে ত্বরান্বিত করেছিলো। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর তেজদীপ্ত নেতৃত্বের কারনে স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু তাকে বীরপ্রতিক উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, অধ্যাপক আবু সুফিয়ান মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু’র আদর্শকে বাস্তবায়নে কাজ করে গেছেন। তাঁর ত্যাগ, যোগ্যতা ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ঈর্ষান্বিত হয়ে স্বাধীনতা বিরোধীরা তাকে হত্যা করে। কিন্তু আবু সুফিয়ানের যোগ্য উত্তরসূরী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বঙ্গবন্ধু’র আদর্শকে বাস্তবায়নে সব হারিয়েও শ্রমিকদের পাশে থেকে আবু সুফিয়ানের অসমাপ্ত কর্মসূচিতে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। অধ্যাপক আবু সুফিয়ানের মত ত্যাগী নেতাদের আদর্শকে স্মরণ করে আগামী দিনে রাজনীতি করার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি তিনি আহবান জানান।
সোমবার বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে দক্ষিণ বাংলার প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা অধ্যাপক আবু সুফিয়ানের ৪৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে আলোচনা সভায় সভাপতি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো. ফারুক আহমেদ, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, এস এম আকিল উদ্দিন, মো. মোতালেব মিয়া, রনজিত কুমার ঘোষ, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, এমরানুল হক বাবু, শেখ আব্দুল কাদের, সৈয়দ শহীদুল ইসলাম, আব্দুর রহীম খান, শরীফ মোর্ত্তুজা, মো. শহিদুল হাসান, আলমগীর মল্লিক, আশরাফুল হাওলাদার শিপন, আইরিন চৌধুরী, নাছরিন আক্তার, মাহামুদুর রহমান রাজেশ, শাহীন আলম, রুম্মান আহমেদ, ওমর কামাল, দিদারুল আলম, সায়মুন মিয়া, ইবনুল হাসান সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
স্মরণ সভা শেষে শহীদ অধ্যাপক আবু সুফিয়ানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।সূত্র : খবর বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা গেজেট/কেএম