খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২০ মে, ২০২৪

Breaking News

  হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিঁখোজ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসি
  বাজারে থাকা এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ, বাজারজাতকারীকে ১৬ লাক টাকা জরিমানা

আবারও অবৈধ অ্যাকশনে প্রশ্নবিদ্ধ নারিনের বোলিং

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চলতি আইপিএলে ব্যাট হাতে সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার সুনিল নারিনের। আসরের শুরুর দিকে নিয়মিত ইনিংসের সূচনা করলেও, ব্যর্থতার কারণে এখন তাকে লোয়ার অর্ডারে পাঠিয়ে দিয়েছে কলকাতা।

ব্যাটিংয়ের এই দৈন্যদশার মাঝেও নিজের মূল কাজ অর্থাৎ বোলিংটা উচ্চমানেরই করে যাচ্ছিলেন নারিন। দলের প্রয়োজনে এনে দিচ্ছিলেন ব্রেকথ্রু, শনিবার এনে দিয়েছেন শ্বাসরুদ্ধকর এক জয়। কিন্তু এবার প্রশ্ন উঠেছে তার বোলিং নিয়েও। ফর্ম নিয়ে নয় বরং নারিনের বোলিং অ্যাকশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন আইপিএলের দুই আম্পায়ার।

শনিবার কিংস এলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে নাটকীয় এক জয় পেয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ম্যাচের শেষ ওভার করেছিলেন নারিন। পাঞ্জাবের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৪ রান, তিনি খরচ করেন ১১ এবং কলকাতা পায় ২ রানের রোমাঞ্চকর এক জয়। এই ম্যাচেই সন্দেহের তালিকায় ঢুকে গেছে নারিনের বোলিং অ্যাকশন।

আইপিএলের ওয়েবসাইটে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আবুধাবিতে কিংস এলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের সন্দেহে সুনিল নারিনের নাম রিপোর্ট করা হয়েছে। ম্যাচের দুই আম্পায়ার (ক্রিস গ্যাফানি ও উল্লাস গান্ধে) এ রিপোর্ট করেছেন।’

‘তবে প্রাথমিকভাবে সতর্কতামূলক তালিকায় থাকবে নারিনের নাম এবং পুরো টুর্নামেন্টেই বোলিং করে যেতে পারবেন তিনি। তবে আরেকবার এমন অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের সন্দেহ করা হলে, এবারের আইপিএলে বোলিং করা থেকে নিষিদ্ধ হবেন নারিন। সেক্ষেত্রে বিসিসিআইয়ের সংশ্লিষ্ট কমিটির ছাড়পত্র নিয়ে পুনরায় বল হাতে নিতে পারবেন এ স্পিনার।’

নারিনের জন্য অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের সন্দেহের তালিকায় ঢোকা এবারই প্রথম নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০১৫ সালের নভেম্বরে শ্রীলংকার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে রিপোর্ট করা হয়েছিল তার বোলিং। এর আগে ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টিতে দুইবার রিপোর্টের মুখে পড়েন তিনি। যে কারণে খেলতে পারেননি বেশ কিছু ম্যাচ।

বোলিং অ্যাকশন শুধরে ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ দিয়ে ফেরেন নারিন। কিন্তু তার এই ফেরাটা ছিলো অতি দ্রুত। যে কারণে ২০১৫ সালের আইপিএলে আবারও সন্দেহের তালিকায় উঠে যায় তার নাম। পুনরায় পরীক্ষা দিয়ে তিনি পাস করেন ঠিকই কিন্তু নিষিদ্ধ করা হয় তার অফস্পিন বোলিং এবং দেয়া হয় চূড়ান্ত সতর্কতা।

তবে চূড়ান্ত সতর্কবার্তায় যে কাজ হয়েছে এমনটাও নয়। পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ২০১৮ সালের আসরে আবারও রিপোর্ট করা হয় নারিনের বোলিং। তবে সেবার পাস করতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি তাকে। এবার আইপিএলে ফের সন্দেহের মুখে পড়লেন তিনি। যদিও আরেকবার রিপোর্ট না হলে পরীক্ষা দিতে হবে না নারিনকে।

খুলনা গেজেট/এএমআর




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!