আফ্রিকায় কোভিড-১৯–এর সংক্রমণে নতুন ঢেউয়ের আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনটি কারণে এ ঢেউ হতে পারে। সেগুলো হলো টিকার সরবরাহে দীর্ঘসূত্রতা, টিকাদান কর্মসূচিতে ধীরগতি এবং করোনার নতুন ধরন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আফ্রিকার কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে করোনার টিকার ডোজ পেতে দেরি করেছে আফ্রিকা। আর এর ফলে এ অঞ্চলে টিকাদানও কম হয়েছে। এর পাশাপাশি করোনার নতুন ধরনের উপস্থিতি আফ্রিকায় নতুন ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার বড় শঙ্কা সৃষ্টি করেছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রকায় নতুন ধরনের উৎপত্তি আফ্রিকায় ‘তৃতীয় ঢেউ’ তৈরি করতে পারে।
ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক প্রধান মাৎসিদিশো মেইটি বলেন, ভারতে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়েছে, তা আফ্রিকায় হবে না। কিন্তু আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে।
মেইটি বলেন, ‘আমরা টিকার নায্যতার কথা বলে আসছি। এখন টিকার যে সংগ্রহই থাকুক না কেন, আফ্রিকাকে এর সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। মানুষকে টিকা দিতে হবে।’
কিছু দেশের নাম উল্লেখ না করে মেইটি বলেন, আফ্রিকার কিছু দেশ টিকার সরবরাহে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু কিছু সাফল্যের উদাহরণের পরও বাস্তবতা হলো, আফ্রিকা যে ৩ কোটি ৭০ লাখ টিকার ডোজ পেয়েছে, এর মধ্যে মাত্র অর্ধেক দেওয়া হয়েছে।
ডব্লিউএইচও বলছে, সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত যত টিকা দেওয়া হয়েছে, তার মাত্র এক শতাংশ দেওয়া হয়েছে আফ্রিকায়।
টিকা নিয়ে বৈশ্বিক কোভ্যাক্স উদ্যোগের আওতায় আফ্রিকার ৪১টি দেশ চলতি বছরের মার্চে টিকা পেতে শুরু করে। এর মধ্যে নয়টি দেশ প্রাপ্ত টিকার মাত্র এক-চতুর্থাংশ ব্যবহার করতে পেরেছে। আর ১৫টি দেশে প্রাপ্ত টিকার অর্ধেকটা দিতে পেরেছে। আফ্রিকায় টিকা দানের হার সারা বিশ্বে সর্বনিম্ন।
খুলনা গেজেট/ এস আই