আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় অথবা ড্র করলেই এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত হবে শ্রীলঙ্কার। অপরদিকে আফগানদের শেষ চার নিশ্চিতের জন্য মিলাতে হবে কঠিন সমীকরণ। আর সেই সমীকরণের মারপ্যাচে এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত এশিয়া কাপের সুপার ফোরে জায়গা করে নেয়াটা বাস্তবিকপক্ষে অসম্ভব বললেও ভুল হবে না।
হিসেবটা সহজ হওয়াতে ম্যাচের শুরু দাপট ধরে রেখেই খেলেছে শ্রীলঙ্কা। আর সেই সুবাদে ৮ উইকেটের বিনিময়ে আফগানিস্তানের সামনে ২৯১ রানের পুঁজি দাঁড় করিয়েছে লঙ্কানরা।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলংকা। লঙ্কানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯২ রানের ইনিংস খেলেন উইকেটকিপার ব্যাটার কুশাল মেন্ডিস।
এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত করার ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও দিমুথ করুণারত্নে। দারুণ সূচনার পর হটাৎই ছন্দ পতন ঘটে শ্রীলঙ্কার। ৩৫ রানে গুলবাদিনের বলে আউট হন করুণারত্নে। আরেক ওপেনার নিশাঙ্কাও ৪১ রানে সাজঘরে ফেরেন। ৮৬ রানে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে আউট হন সামারাবিক্রমা। এবারও উইকেট সংগ্রাহক সেই গুলবাদিন নাঈব।
চতুর্থ উইকেটে আশালঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে ১০২ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক জুটি গড়েন কুশাল মেন্ডিস। দলীয় ১৮৮ রানের মাথায় রশিদের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৩৬ রান করেন আশালঙ্কা। ফিফটি পূরণ করে রান আউট হয়ে ৯২ তে কাটা পড়েন কুশাল মেন্ডিস। ধনাঞ্চয়া ও অধিনায়ক শানাকারা ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলে বড় সংগ্রহের পথে ছেদ পড়ে। তবে অষ্টম উইকেটে ৬৪ রানের জুটি গড়েন থিকসেনা ও ওয়াল্লাগে। ফলে আফগানদের সামনে ২৯২ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁড়ে দিতে সক্ষম হয় শ্রীলঙ্কা। থিকসেনা ২৮ এবং ওয়াল্লাগে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
খুলনা গেজেট /এমএম