খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর নিয়োগ নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

আন্তজার্তিক নারী নির্যাতন পক্ষ ও মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে খুলনায় মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় নাগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ব্রাক, পল্লী সমাজ, ব্লাস্ট, জেজেএস, মাসাস, কেএমএসএস, লেখিকা সংঘ, রূপান্তর, খুলনা মহিলা সমিতি, ডাব্লিউ ই এস, মহিলা পরিষদ জেলা শাখা, জনউদ্যোগ, খুলনা, গুণীজন স্মৃতি পরিষদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন নারী নেত্রী এড. শামীমা সুলতানা শীলু এবং সভা পরিচালনা করেন এড. মোমিনুুল ইসলাম ও অজন্তা হালদার। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিপিবি নারী সেলের সুতপা বেদজ্ঞ,জনউদ্যোগ,খুলনা সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন, ব্রাকের নয়ন কুমার ঘোষ, আই আরভি’র মেরিনা যুথি, জেজেএস’র তাসলিমা খানম, হিউম্যানিটি ওয়াচের শরিফুল ইসলাম সেলিম, পরিবর্তনের কাজী বাবর আরী,সোনালী দিন প্রতিবন্ধী সংস্থার ইসরাত আরা হীরা, মোঃ আরিফ সানা, নাজমীন ইসলাম, নূরুন নাহার হীরা, এডাবে রেজাউল করিম, গ্লোবাল,খুলনান শাহ মামুনার রহমান তুহিন প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন,নারীর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতা নারীর মানবাধিকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ। এই নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ করতে সরকারের সাথে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। তবেই নারী ও শিশুর প্রতি সকল ধরণের নির্যাতন ও সহিংসতা মুক্ত দেশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। বিভিন্ন পর্যায়ের সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেণ।

বক্তারা বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারকে বদ্ধপরিকর হতে হবে। সরকারকে নারী নির্যাতন বন্ধ, নারী নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আইনি সহায়তা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০২০ প্রণয়ন করেছে। যা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড’ এর স্থলে মত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড’ এর বিধান রাখা হয়েছে। সংশোধিত আইনের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু খুলনা বিভাগীয় শহরে সরকারি হাসপাতাল গুলোতে ডিএনএ প্রোফাইলিং ও স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরি স্থাপনসহ ফরেনসিক বিভাগের অভিজ্ঞ শিক্ষকের সয়কট কাটছে না। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আন্তঃমন্ত্রণালয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করা সহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটিগুলো পুনর্গঠন করতে হবে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!