মণিরামপুরে গৃহবধূ চুমকি দত্ত (২৩) আত্মহত্যা করেননি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার প্ররোচনায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাজমুস সাকিব।
গত ৩০ আগস্ট গৃহবধূ চুমকি দত্তের শশুর বাড়ির নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সুমন নাগ চুমকিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে স্বামী মৃত্যুঞ্জয়, শাশুড়ী চায়না দত্ত ও দেবর আকাশ দত্তের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলায় গৃহবধূর স্বামীকে ঘটনার দিন পুলিশ আটক করে। নিহত চুমকি দত্ত পৌর শহরের তরুন চন্দ্রের কন্যা ও হাকোবা গ্রামের কৃষ্ণ ড্রাইভারের পুত্র মৃত্যুঞ্জয় দত্তের স্ত্রী।
নিহতের ৫ বছর বয়সী নিহারিকা দত্ত নামে এক কন্যা রয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মৃত্যুঞ্জয় চুমকি দত্তকে মারপিট করে। এক পর্যায় তাকে গলা টিপে মাথা দেওয়ালের সাথে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করতে বালিশ চাপা দেয়া হয়। নিহতের শশুর পরিবার নিজেদের রক্ষা করতে প্রচার চালায় চুমকি আত্মহত্যা করেছে। তবে নিহতের গলায় বৃদ্ধাঙ্গুলের ছাপ দেখে তার স্বজনদের জোর দাবী ছিল তাকে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি মাকে একের পর এক আঘাতসহ মারপিটের বিষয়টি শিশু নিহারিকা পুলিশকে জানিয়ে ছিলো।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মণিরামপুর থানার এসআই নাজমুস সাকিব জানান, গত শুক্রবার চুমকি দত্তের মৃত্যুর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন। এতে ‘হোমো সাইডাল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যা হত্যা হিসেবে বিবেচিত হয়। তিনি আরো জানান, এ মামলার দ্রুত চার্জশীট দেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/কেএম