সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ঠাকুরগাঁয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (আইসিটি অ্যাক্টে) মামলা, সাংবাদিকদের তথ্য না দিতে ঢাকা সিভিল সার্জনের নোটিশ জারি নিন্দা জানিয়েছে খুলনার কর্মরত পেশাজীবী সাংবাদিকবৃন্দ।
তাঁরা বলেছেন, এসব ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী ও তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর পুরোপুরি লংঘন। এতে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। রবিবার (১১ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে সাংবাদিকরা এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকবৃন্দ বলেন, ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে বরাদ্দের বিপরীতে রোগীর খাবার পরিবেশনে অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। এ ঘটনার জের ধরে জাগোনিউজ২৪.কমের জেলা প্রতিনিধি তানভীর হাসান তানু, বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ লিটু ও নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি রহিম শুভকে আসামী করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নাদিরুল আজিজ বাদী হয়ে মামলা করেন। পুলিশ শনিবার (১০ জুলাই) তানুকে গ্রেপ্তার করে। রবিবার তিনি জামিন পান।
এর আগে গত ৮ জুলাই ২০২১ ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসানের সই করা নির্দেশনায় সরকারি হাসপাতালে রোগীর সেবা সম্পর্কিত ও স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকান্ডের বিষয়ে গণমাধ্যমে কোনও প্রকার তথ্য প্রদান ও মন্তব্য না দিতে নোটিশ জারি করেন।
কর্মরত সাংবাদিকরা, অবাধ তথ্য প্রবাহ, কর্মক্ষেত্রে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, সাংবাদিক হয়রানি বন্ধের দাবি জানান। একই সাথে সাংবাদিকদের নামে দায়ের করা ডিজিটাল মামলা প্রত্যাহার ও এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন সাংবাদিক এস এম হাবিব, গৌরাঙ্গ নন্দী, দিদারুল আলম, আবু তৈয়ব, এনামুল হক, কনক রহমান, সামছুজ্জামান শাহিন, আবু হেনা মোস্তফা জামাল, আলমগীর হান্নান, হেদায়েৎ হোসেন মোল্লা, এইচ এম শামিমুজ্জামান, কৌশিক দে, মো. আনিস উদ্দিন, মহেন্দ্র নাথ সেন, মুহাম্মদ নুরুজ্জামান, মাহবুবুর রহমান মুন্না, এমডি অসীম, সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাট, বিমল সাহা, অভিজিৎ পাল, রকিবুল ইসলাম মতি, ইয়াসিন আরাফাত রুমি, উত্তম মন্ডল, মো. সাদ্দাম হোসেন, দীপংকর রায়, আশরাফুল ইসলাম নূর, আমিনুল ইসলাম, মোহম্মদ মিলন, মানজারুল ইসলাম, শেখ আউয়াল, মো. বেল্লাল হোসেন সজল প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি