ল ঠেলে দিয়ে শুরুতে রান নেওয়ার চেষ্টা করলেও বড় দাড়িয়ে যান মিরাজ। ততক্ষণে অপরপ্রান্ত থেকে দৌড়ে ক্রিজ কভার করে শান্ত। ফলে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় মিরাজকে। এর আগে পাথিরানার বলে ১২ রানে জীবন পেয়েছিলেন মুশফিক। এক রান করতেই সেই পাথিরানার ফাঁদেই পা দিলেন দলের ডিপেন্ডেবল এই ব্যাটার। শর্ট লেংথের বলে থার্ড ম্যানে ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ২২ বলে ১৩ রান করেন মুশফিক। ১২৭ রানেই বাংলাদেশ হারিয়েছে পঞ্চম উইকেট।
বাংলাদেশ ৩৪.৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রানে ব্যাট করছে। ক্রিজে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে আছেন মিরাজ।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মাহিশ থিকশানার মিডল স্টাম্পের ওপর করা ডেলিভারি ভুল লাইনে খেলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তানজিদ। দুই বল খেলে ‘ডাক’ সঙ্গে নিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর সামনে এগিয়ে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন নাঈম। তবে সেই শটে ছিল না নিয়ন্ত্রণ, নিশাঙ্কার তালুবন্দি হয়ে মাত্র ১৬ রানেই বিদায় হন টাইগার ওপেনার।
দুই ওপেনারের দ্রুত বিদায়ে সাকিবের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিল দল। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শুরু করলেও ধারা ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। ১১তম ওভারের চতুর্থ বলে পাথিরানার বলে আলগা খোচাতে উইকেট হারান সাকিব। কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়ে সাকিব ফিরেছেন ১১ বলে ৫ রান করে।
৩৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশকে টেনে তুলছিলেন নাজমুল শান্ত-হৃদয়। তাদের ব্যাটে বড় স্কোরের আশা দেখছিল বাংলাদেশ। তবে দলীয় ৯৫ রানে হৃদয়ের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। চতুর্থ উইকেটে দুজন ৫৯ রান তুলেছেন। হৃদয় ফিরেছেন ২০ রানে। এর আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তোলেন শান্ত।
নতুন করে ওয়ানডের নেতৃত্বভার পাওয়া সাকিব শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন। ব্যাটিং উপযোগী উইকেটে বড় রান করার আশার কথা জানান তিনি। বাংলাদেশ একাদশে আছেন শেখ মাহেদী হাসান।
বাংলাদেশ একাদশ: নাঈম শেখ, তানজিদ তামিম, নাজমুল শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মেহেদি মিরাজ, শেখ মাহেদী, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কার একাদশ: দিমুথ করুনারত্নে, পাথুন নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথা আশালঙ্কা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, দাশুন শানাকা, দুনিথ ওয়াল্লালাগে, মহেশ থিকসানা, কাসুন রাজিথা, মাথিসা পাথিরানা।