অযত্ন-অবহেলা আর সংরক্ষণের অভাবে পড়ে আছে ডুমুরিয়া উপজেলার প্রথম চিকিৎসালয়টি। ১৫৪ বছরের স্মৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এ ভবনটি। পরিত্যক্ত এ ভবনটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হলে ইতিহাসের পাতায় উঠে আসবে অনেক অজানা তথ্য।
তৎকালীন জমিদার আমলে ডুমুরিয়া উপজেলার বর্তমান থানার পশ্চিম পাশে অর্থাৎ মরাভদ্রা নদীর পাড়ে ১৮৬৮ সালে ওই চিকিৎসালয়টি স্থাপন করা হয়। তৎকালীন ডুমুরিয়া অঞ্চলের মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে এখানে চিকিৎসা সেবা নিতে আসত। বর্তমান আধুনিক যুগে চিকিৎসা ক্ষেত্রে মানুষ এখন আর পিছিয়ে নেই। তবে ডুমুরিয়ায় চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রথম চিকিৎসালয় হিসেবে এটি অনেক স্মৃতি বহন করছে। সে কারণে ইতিহাস জানতে ১৫৪ বছরের চিকিৎসালয়টি বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয়রা। অন্যথায় একসময় দেখা যাবে, ওই চিকিৎসালয়ের গল্প শুধু দাদা-দাদি বা নানা-নানির কাছে শুনবে নতুন প্রজন্ম। দেখতে পাবে না এর কোনো স্মৃতিচিহ্ন।
এ প্রসঙ্গে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান রোস্তম বলেন, পুরনো এ চিকিৎসালয়টি দ্রুত সংস্কার করে সংরক্ষণের আওতায় আনা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ জানান, অতীতকে ভুলে গেলে চলবে না। ডুমুরিয়ার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এ চিকিৎসালয় ভবনটি সংরক্ষণ করা দরকার।
খুলনা গেজেট/এনএম