যশোরের অভয়নগরে মুন্না বিশ্বাস (৩৪) নামে এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে সিদ্ধিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের অফিস ভাংচুর ও তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (২ অক্টোবর) সকালে ঘটনা ঘটলেও মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিষয়টি জানাজানি হয়।
হামলাকারী মুন্না বিশ্বাস সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের ধুলগ্রামের মোশারফ বিশ্বাসের ছেলে। সে অভয়নগর থানা যুবদলের সদ্য স্থগিত হওয়া আহবায়ক কমিটির একজন সদস্য বলে নিজেকে দাবি করেন।
সিদ্ধিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব তুষার কান্তি দা বলেন, ‘জন্ম নিবন্ধনের বিষয়ে রবিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ টার সময় মুন্না বিশ্বাস আমার অফিসে আসেন। এসময় তিনি জন্ম নিবন্ধন নিয়ে কেন জটিলতা হচ্ছে এমন প্রশ্ন করে আমার উপর ক্ষিপ্ত হন এবং অফিসের টেবিল ভাংচুর করেন। টেবিলের উপরে থাকা কাঁচের গ্লাস ভাংচুর করার পর আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যান। এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারের সঙ্গে কথা হয়েছে।’
যুবদল নেতা মুন্না বিশ্বাস মুঠোফোনে বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের সচিব তুষার কান্তি দা এর সঙ্গে আমার তেমন কিছু হয়নি। আমার এক শিক্ষকের জন্ম নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি খারাপ আচরণ করলে একটু কথা কাটাকাটি হয়। সচিব সাহেবের টেবিলের উপরের গ্লাসটি আগেই ভাঙা ছিল। অফিস ভাংচুর বা তার সঙ্গে গালিগালাজের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরবর্তীতে আমি নিজেই তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।’
নিজেকে একজন বিএনপি কর্মী দাবি করে মুন্না বিশ্বাস আরও বলেন, ‘সদ্য স্থগিত হওয়া অভয়নগর থানা যুবদলের আহবায়ক কমিটির আমি একজন তালিকভুক্ত সদস্য।’
সিদ্ধিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবুল কাশেম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি পরিষদে ছিলাম না। পরে জানতে পারি সচিবের অফিসে কিছু হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন বলেন, ‘উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে হামলাকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
খুলনা গেজেট/ টি আই