অভয়নগর উপজেলার বাশুয়াড়ী গ্রামের আব্দুল আলিম সরদারের স্ত্রী ফাতেমা বেগম এক আনসার সদসস্যের নির্যাতনের শিকার হয়ে বিচারের জন্য ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে। ন্যায় বিচার পেতে অভয়নগর থানায় করেছেন মামলা। যশোর জেলা পুলিশ সুপার বরাবর দিয়েছিলেন লিখিত অভিযোগ।
গৃহবধূ ফাতেমা বেগম জানান, জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বছরের এপ্রিল মাসে আমার বসতবাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে প্রতিবেশী আনসার সদস্য লুৎফর রহমান ওরফে নুকু, তাঁর চাচাতো ভাই জাকির হোসেন সরদার, হবি সরদার, লুৎফর রহমানের ভাইপো হাফিজুর, কামরুল ও মনিরুল। ওই দিন রাতে বাশুয়াড়ী পুলিশ ক্যাম্পে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করা হয়। পরবর্তীতে গত ১৪ জুন ২০২০ তারিখ আমার মেয়ে মুনিয়া খাতুন বাদি হয়ে অভয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করে, যার মামলা নং-১৩। চলমান মামলাটিকে ভিন্নখাতে নিতে আনসার সদস্য লুৎফর রহমান তাঁর প্রভাব খাটিয়ে এলাকাবাসীর কাছ থেকে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে।
সরেজমিনে বাশুয়াড়ী গ্রামে গেলে জানা যায়, গণস্বাক্ষরে যাদের নাম ও স্বাক্ষর দেওয়া আছে তাদের অধিকাংশের স্বাক্ষর জাল বা নকল করা হয়েছে। এমনকি গৃহবধু ফাতেমা বেগমের ছেলে লাদেন হোসেন হৃদয়ের স্বাক্ষরও জাল করা হয়েছে। গণস্বাক্ষরে শিশুদের প্রভাবিত করে স্বাক্ষর করানো হয়েছে বলে অনেক শিশু অভিযোগ করেছে। এ ব্যাপারে গণস্বাক্ষরকৃত মফিজুর রহমান জানান, আমি গত ৬ মাস যাবৎ বাড়ি ছিলাম না। আমার নাম ও স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। শিক্ষক জিএম নাজমুল হোসেন বলেন, গণস্বাক্ষরে আমি কোন স্বাক্ষর করিনি।
গৃবধুর স্বামী আব্দুল আলিম সরদার জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে উল্লেখিত আসামিরা মধ্যরাতে বাড়ির টিনের চালে ইট-পাথর নিক্ষেপ, বাথরুমের পানিতে ঝালেরগুড়া দেয়া সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আসছে। এ অবস্থায় আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আনসার সদস্য লুৎফর রহমানসহ উল্লেখিত আসামিদের বিচারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
অভিযুক্ত আনসার সদস্য লুৎফর রহমান জানান, ঘটনা সত্য নয়, আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। স্থানীয় বাশুয়াড়ী পুলিশ ক্যাম্পের আইসি এসআই ইকবাল মাহামুদ জানান, ঘটনাটি তাদের পারিবারিক। উভয়পক্ষ মামলা করেছে। যা আদালতে চলমান আছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি