সারাদেশের ন্যায় যশোরের অভয়নগরে হচ্ছে বই উৎসব । এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত আসেনি ষষ্ঠ শ্রেণির কোনো বই । ফলে এ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বছরের প্রথম দিন করতে পারছেনা বই উৎসব। নতুন বছরের প্রথম দিনটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যরকম এক আনন্দের দিন। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ শুঁকতে শুঁকতে বাড়ি ফেরার এই রীতি বহু বছরের। তবে করোনার থাবা এসে মলিন করে দেয় বই উৎসব। বিগত দুুই বছর প্রথম দিন সব বই পৌঁছায়নি শিক্ষার্থীদের হাতে। পুরোনো স্মৃতিকে ভুলে এ বছরের শুরুতে সব নতুন বই পাওয়ার স্বপ্ন দেখলেও তা অধরাই থেকে যাচ্ছে।
সূত্রমতে,বর্ণাঢ্য আয়োজনে আজ থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হলেও উপজেলা পর্যায়ে এ পর্যন্ত ৮০ শতাংশের মতো বই পৌঁছেছে। বাকি ২০ শতাংশ বই জানুয়ারির মধ্যেই পৌঁছানো হবে শিক্ষার্থীদের হাতে। ফলে রীতি অনুযায়ী বছরের প্রথম দিন আড়ম্বরপূর্ণভাবে বই উৎসবের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও সব বই পৌঁছাবে না শিক্ষার্থীদের হাতে।জানা যায়, এবার প্রাথমিকের ৯ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার ২৪৫টি এবং মাধ্যমিকে ২৩ কোটি ৮৩ লাখ ৭০ হাজার ৫৮৮টি বই ছাপানো হচ্ছে। বই ছাপানোর কার্যাদেশ দিতে দেরি করা, ভালো মানের সংকট, প্রাক্কলিত দরের চেয়ে কম দামে কাজ নেওয়াসহ কয়েকটি কারণে এবার সময়মতো সব শিক্ষার্থীর হাতে মানসম্মত সব বই তুলে দেওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত এই সংকট কাটেনি।
এ ব্যাপারে নওয়াপাড়া শংকরপাশা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়েল প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, “নতুন বছরে ষষ্ঠ ও
সপ্তম শ্রেণির সম্পূর্ণ নতুন কারিকুলামে পাঠদান করা হবে। নতুন বছরের ষষ্ঠ শ্রেণির বই পাই নি। তবে সপ্তম শ্রেণির আংশিক এবং ৮ম ও নবম শ্রেণির বই পেয়েছি।”সুন্দলী এস টি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ বলেন, “নতুন বছরের সব শ্রেণির বই আংশিক পেয়েছি । তবে ষষ্ঠ শ্রেণির কোনো বই পাইনি।”
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলায় বইয়ের চাহিদা ছিল চার লাখ বায়ান্ন হাজার সাতশত সত্তর টি চাহিদার তুলনায় ৪৮ শতাংশ বই পৌঁছেছে। ষষ্ঠ শ্রেণির কোনো বই এখন পর্যন্ত পৌঁছায় নি। তাছাড়া সপ্তম শ্রেণির চারটি বিষয়ের বই পেয়েছি এবং নবম শ্রেণির কিছু বই বাকি আছে। তবে অষ্টম শ্রেণির সব বই পৌঁছেছে। আশা করছি বছরের প্রথম সপ্তাহে বাকি সব বই পেয়ে যাবো। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, এ বছর সারা বাংলাদেশে বই উৎসবের একই চিত্র।
খুলনা গেজেট/ বিএমএস