গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) অবৈধভাবে ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) নিয়োগের অভিযোগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর থেকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (ভিসি) দপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং নীতিমালার আওতায় হওয়া উচিত। তারা অভিযোগ করেছেন, নিয়ম লঙ্ঘন করে পিএস নিয়োগ এর পাশাপাশি, কিছু শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন যে, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করছে।
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ওবায়দুল ইসলাম বলেন, “আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হোক। অবৈধভাবে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হলে তা শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-নীতির প্রতি অবমাননা।”
অবস্থান কর্মসূচির কারণে ভিসি দপ্তরের কার্যক্রম কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকে। তবে উপাচার্য এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করবেন বলে জানান এবং সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পিএস এর নিয়োগ স্থগিত রাখেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন এবং বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। তবে এ প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ থাকবে বলে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অংশীজনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এখন সবার নজর প্রশাসনের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।
এবিষয়ে, উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার অনাগ্রহ প্রকাশ করেন।
খুলনা গেজেট/এএজে