খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ পৌষ, ১৪৩১ | ৮ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  উড্ডয়ন করেছে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
  রাজধানীতে পঙ্গু হাসপাতালে আগুন
  গুম ও জুলাই গণহত্যায় জড়িত ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল
  ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে ভারতে আছেন শেখ হাসিনা, ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
খুলনা গেজেটে সংবাদ প্রকাশের পর

অবশেষে ঘূর্ণিঝড়ে উপড়ে পড়া গাছ সড়ক থেকে অপসারণ শুরু

একরামুল হোসেন লিপু

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) “ঘূর্ণিঝড়ে উপরে পড়া গাছ ৭ মাস সড়কে, যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি” এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন খুলনা গেজেটে প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের দুইদিন পর রবিবার (৫ জানুয়ারি) থেকে খুলনা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ সড়ক থেকে মূল বটগাছটি অপসারণের উদ্যোগ নেয়।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগকৃত চার জন শ্রমিক করাত এবং কুড়াল দিয়ে গাছটি অপসারণের কাজ করছে।

কর্মরত শ্রমিক মো. মহিবুল্লাহ ও ইমাম হোসেন খুলনা গেজেটকে বলেন, আমরা ৪ জন শ্রমিক গতকাল (৫ জানুয়ারি) থেকে গাছটি সরানোর কাজ শুরু করেছি। গাছটি সম্পূর্ণভাবে অপসারণ করতে ১০/১২ দিন সময় লাগতে পারে।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ে উপড়ে পড়া গাছ ৭ মাস সড়কে, যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি

দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম বলেন, উপজেলা সদরের সঙ্গে শহরের যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির উপর বটগাছটি পড়ে থাকায় যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি ছিল। ১৪ নভেম্বর ইউএনও হিসেবে যোগদানের পর থেকে দ্রুত সড়কের উপর থেকে গাছটি অপসারণের চেষ্টা শুরু করি। সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে বলেছি। জেলা সমন্বয় কমিটির মিটিংয়ে বিষয়টি উত্থাপন করেছি। গাছটি অপসারণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে রেজুলেশন হয়েছে। শেষমেষ গতকাল ৫ জানুয়ারি থেকে গাছটি অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রচন্ড আঘাতে রেলিগেট ফেরিঘাট সংলগ্ন প্রায় ১৩০ বছরের পুরানো বটগাছটি গোড়া থেকে উপড়ে পড়ে সড়কের উপর। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। সিটি কর্পোরেশন ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে সড়কের উপর থেকে গাছপালা অপসারণে কাজ করে। ফায়ার সার্ভিসের দৌলতপুর এবং খুলনা সদরের ৪ টি ইউনিটের ৫০ জন কর্মী তাৎক্ষণিকভাবে ইলেকট্রিক করাত দিয়ে বৃহদাকৃতির বট গাছটি’র বড় বড় ডাল কেটে সড়কে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে দেয়। কিন্তু উপড়ে পড়া মূল গাছটি সড়কের পাশেই থেকে যায়। এরপর কেটে গেছে ৭ মাস। যেটি ওই স্থান থেকে অদ্যবধি অপসারণ করা হয়নি। বটগাছটি’র মূল অংশ সড়কের প্রায় অর্ধেকাংশ জায়গা দখল করে আছে। ফলশ্রুতিতে দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন চালকদের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হতো।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!