সাতক্ষীরায় তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনের মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বেলা ২টা পর্যন্তÍ মাঠে বিএনপি-জামায়াতের কোন নেতাকর্মীকে দেখা পাওয়া যায়নি। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও রাস্তায় যানবাহন চলছে অন্য দিনের তুলনায় কম। সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে জেলার বিভিন্ন রুটে স্বল্প সংখ্যাক বাস চলাচল করলেও দুরপাল্লার কোন পরিবহন ছেড়ে যায়নি। তবে মালবাহী ট্রাক চলাচল করতে দেখা গেছে।
এদিকে সকাল থেকে ভোমরা স্থলবন্দরে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। শহরের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিকভাবে চলছে। অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে কোনো বাধা নেই। যথারীতি ক্লাস চলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। শহরের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে।
অপরদিকে বিএনপি জামায়াতের অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ভোর রাত থেকে সাতক্ষীরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাস্তায় পুলিশ বিজিবি র্যাব সদস্যরা টহল দিচ্ছে। সকালে শহরের অদূরে বিনেরপোতা এলাকায় সড়কে একটি টায়ারে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করলে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পিকেটাররা পালিয়ে যায়।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল জানায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরার নেতৃত্বে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, বিজিবি এবং র্যাব সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি টহল দল বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছে। সাতক্ষীরা জেলার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলার অবস্থা স্বাভাবিক।
মিডিয়া সেল আরো জানায় নিরাপত্তা বাহিনী সক্রিয়ভাবে এবং দক্ষতার সাথে এলাকার নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে, যা সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলার প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করেছে। স্থলবন্দরের দিকে যাওয়ার প্রধান সড়কগুলো কোনো বাধা বা প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই যানবাহন ও পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত এবং প্রবেশযোগ্য। ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহনসহ যানবাহন চলাচল নিরবচ্ছিন্ন রয়েছে। যানবাহন অবাধে চলাচল করছে এবং যানজট বা বিলম্বের কোনো খবর নেই। এখন পর্যন্ত কোনো সহিংস বা সংঘর্ষেও কোন খবর পাওয়া যায়নি।
খুলনা গেজেট/ টিএ