খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২০ মে, ২০২৪

Breaking News

  এখনও খোঁজ মেলেনি ইরানের প্রেসিডেন্টের, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় চলছে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান

অবন্তিকার আত্মহত্যা : সহকারী প্রক্টর জামিনে মুক্ত

গেজেট ডেস্ক

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের মাষ্টার্সের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় কারাগারে থাকা জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিনে মুক্তি লাভ করেছেন। বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উচ্চ আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে তিনি কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন।

জানা যায়, গত ১৫ মার্চ রাতে জবির ছাত্রী অবন্তিকা ঢাকা থেকে কুমিল্লা নগরীতে এসে তাদের ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার আগে সে নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠি রায়হান আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে হয়রানি ও উৎপীড়নের নানা অভিযোগ করেন। পরদিন রাতে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় দুজনকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

পরে ডিএমপি পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে কুমিল্লা জেলা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়। গত ১৮ মার্চ আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে আদালতে সোপর্দ করার পর আম্মানের দুই দিন এবং সহকারী প্রক্টরের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে গত ২৮ মার্চ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) নাছরিন জাহানের আদালতে তার জামিন আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এছাড়াও জেলা জজ আদালতেও তার জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়।

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বুধবারই হাইকোর্ট থেকে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন দেয়া হয়। পরে বিকেলে কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে বিধি মোতাবেক কারাগারে কাগজপত্র আসে। পরে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি কারাগার থেকে বের হয়ে যান।

মামলায় এজাহার নামীয় আসামি সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিনের প্রতিক্রিয়ায় মামলার বাদী অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বলেন, এখনো জবির তদন্ত রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি। কখন রিপোর্ট দেয়া হবে তাও জানি না। মামলার চার্জশিটও দেয়া হয়নি। তদন্ত চলাকালে আসামির জামিনে মুক্তি শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে সাক্ষ্য নেয়ার বিষয়টি ঝুঁকিতে পড়ে গেল। তিনি আরও বলেন, আসামি বাহিরে থাকলে মামলার তদন্ত কাজ ব্যাহত হবে বলে আমি আশঙ্কা করছি।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!