সাংবাদিকতা পেশাকে ব্যবহার করে সমাজে চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন, জমিদখল ও সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীসহ সব ধরণের অপসাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) এর নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ একজন সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে বলেন, তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি ধর্ষণ, ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তা অবিলম্বে তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা- তার এমন কর্মকাণ্ডে সাংবাদিকতা পেশার সম্মানহানি হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মোংলাসহ খুলনায়ও বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে, অথচ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আমরা এ ঘটনাকে ধিক্কার জানাই।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এছাড়া একটি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক প্রকাশ্যে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্রকরে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারকে গালিগালাজ করেছেন। সরকারবিরোধী নানা অপপ্রচারে তার লিপ্ত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় তিনি গ্রেফতারও হয়েছেন। তাই অবিলম্বে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিকদের নৈতিক অবক্ষয় ও সামগ্রিক বিষয়ে ইউনিয়নের নজর রাখা উচিত। কেউ যদি অপরাধে যুক্ত হন তা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। তবে সাংবাদিকদের পেশার সম্মানহানি করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। গত ৩ এপ্রিল (শনিবার) অনুষ্ঠিত কেইউজে’র নির্বাহী কমিটির সভায় উল্লেখিত দুইজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করা হয়। এ বিষয়ে ইউনিয়নের সদস্যসহ পেশাদার সাংবাদিকদের আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিদাতারা হলেন কেইউজে’র সভাপতি মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, সহ-সভাপতি মো. হুমায়ুন কবীর ও মহেন্দ্রনাথ সেন, সাধারণ সম্পাদক ও বিএফইউজে’র নির্বাহী সদস্য মো. সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাট, যুগ্ম সম্পাদক নেয়ামুল হোসেন কচি, কোষাধ্যক্ষ অভিজিৎ পাল, দপ্তর সম্পাদক জয়নাল ফরাজী, প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এস এম নূর হাসান জনি, নির্বাহী সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, আল মাহমুদ প্রিন্স ও বিমল সাহা। অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন বিএফইউজে’র নির্বাহী সদস্য এস এম ফরিদ রানা।
খুলনা গেজেট/এস আই