নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, অপরিকল্পিত ব্রিজ নির্মাণ করে নদী হত্যা করতে দেওয়া হবে না।নদীর জায়গা নদীকে ফেরত দিতে হবে। অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে নদী বাঁচাতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও ইতিমধ্যে নওয়াপাড়া নদীবন্দরের উন্নয়নে সাড়ে ৩’শ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে ২০ একর জমি অধিগ্রহণ করে পণ্য লোড আনলোডের জন্য ২টি জেটি নির্মাণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, খুলনায় একটি ড্রেজার বেজ তৈরি করা হয়েছে, যেটি উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। এই অঞ্চলের নদী রক্ষায় সার্বক্ষনিক ১০/১২ টি ড্রেজার কাজ করবে। বুধবার সকালে যশোরের শিল্প-বানিজ্য ও বন্দর নগর নওয়াপাড়া নদীবন্দরের টার্মিনাল ভবনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অভয়নগর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এনামুল হক বাবুলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান গোলাম সাদিক। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার অলিয়ার রহমান, উপজেলা আ’লীগের সহ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র সুশান্ত কুমার দাস শান্ত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন, নওয়াপাড়া সার সিমেন্ট ও খাদ্য শষ্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আঃ গণি সরদার।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, যশোর জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত সদস্য আঃ রউফ মোল্যা, অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম শামীম হাসান, নওয়াপাড়া সার সিমেন্ট খাদ্য শষ্য ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ জালাল হোসেন, আ’লীগ নেতা গাজী নজরুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা বেগম, আ’লীগ নেতা হাবিবুর রহমান বাপ্পী, আনোয়ার হোসেন মোল্যা, গোলাম জহিরুল হক লিখন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আসলাম হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক শাহ খালিদ মামুন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান মিলন, সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ শান্ত প্রমুখ।
উল্লেখ্য,যশোরের অভয়নগরে ভৈরব নদের নওয়াপাড়া বন্দর থেকে চেঙ্গুটিয়া পযর্ন্ত পলিজমে ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। শিল্প-বাণিজ্য ও বন্দর নগর নওয়াপাড়ার স্পন্দন ভৈরব নদের প্রাণ যায় যায় অবস্থা ।এ নদীর তলদেশ পলিজমে ভরাট হয়ে আসছে। দু’তীরেই চর জাগতে শুরু করেছে। অব্যাহত দখল ও দূষন, অপরিকল্পিত নদী ড্রেজিং, বিআইডব্লিউটিএ এর উদাসীনতা, অপরিকল্পিত ঘাট নির্মাণ ও ঘাট মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতায় শিল্প-বাণিজ্য ও বন্দর নগরীর স্পন্দন ভৈরব নদের প্রাণ যায় যায় অবস্থা। থমকে যাচ্ছে নদের স্বাভাবিক স্রোত ধারা। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, অচিরেই পায়ে হেটে পার হওয়া যাবে নওয়াপাড়ার ভৈরব নদী। আর পরিস্থিতি এমন হলে মুখ থুবড়ে পড়বে এ নদী বন্দর। ধ্বংসের আশংকা রয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসায়ী মোকাম নওয়াপাড়া বাণিজ্য বন্দরে। বেকার হয়ে পড়বে ৩৫ হাজার হ্যান্ডলিং শ্রমিক। পথে বসবে শতশত ব্যবসায়ী। কেবল হ্যান্ডলিং শ্রমিক ও ব্যবসায়ী নয় পরোক্ষভাবে নদী বন্দরের সাথে যুক্ত মোটর শ্রমিক ও ব্রোকার ইউনিয়নের শ্রমিকরাও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ভেঙ্গে পড়বে এ অঞ্চলের অর্থনীতি। দেখা দেবে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতর চরম অবনতি। ফলে নদী দখলদারদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাচারী ঘাট মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি বিআইডব্লিউটিএকে নদী বাঁচাতে অচিরেই কার্যকর ভূমিকা গ্রহনের দাবি তুলেছেন সচেতন মহল। যে কারণে যশোরের শিল্প-বানিজ্য ও বন্দর নগর নওয়াপাড়া নদীবন্দরের টার্মিনাল ভবনে এক মতবিনিময় সভায় যোগদান করেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
খুলনা গেজেট/ বিএমএস