টানা আট মাস অনাবৃষ্টির কারণে সুন্দরবনে ছয় হাজার হেক্টর পরিধির বনভূমিতে মধুর চাকের সংখ্যা কমেছে। উৎপাদনও কম। গরান, খলিসা, কেওড়া, বাইন গাছে কাঙ্খিত ফুল ফোটেনি। মৌমাছি খাবারের অভাবে খালের পানি পান করছে। কয়রা, শ্যামনগর ও দাকোপ উপজেলার মৌয়ালরা হতাশ হয়ে পড়েছে।
১ এপ্রিল থেকে মধু সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। গত মাসে এক হাজার তিনশ’ ৯৪ কুইন্টাল মধু সংগ্রহ হয়। গেল মৌসুমে দুই হাজার ছয়শ’ কুইন্টাল মধু ও ছয়শ’ এক কুইন্টাল মোম সংগ্রহ হয়। বন থেকে নানা জাতের ফুলের মধু সংগ্রহ করে মৌয়ালরা। সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কোবাদক, কৈখালী, কদমতলা ও বুড়িগোয়ালিনী থেকে তিনশ’ ৯৬টি নৌকা মধু সংগ্রহের পারমিট নেয়। মৌ সংগ্রহে নামে ১৫শ’ মৌয়াল।
শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের চাঁদনীমুখা গ্রামের মৌয়াল শহিদুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে মৌমাছিরা এ বছর চাকে প্রয়োজনীয় মধু সংগ্রহ করতে পারেনি। কাঙ্খিত ফুল ফোটেনি। ১ মাসে তিনজন মৌয়াল মিলে ৩৫ কেজি মধু সংগ্রহ করে। যার মূল্য ২৫ হাজার টাকা। তিনজন মৌয়ালের এক নৌকায় এ মৌসুমে সব মিলিয়ে খরচ হবে ৮০ হাজার টাকা।
শ্যামনগর উপজেলার নীলডুমুর গ্রামের মধু ব্যবসায়ী তৌহিদুল ইসলাম জানান, মৌ সংগ্রহের জন্য ১০টি নৌকায় ৩০ জন জেলেকে সুন্দরবনে পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫০ মন মধু আহরণ হয়েছে। আয় হয়েছে ১০ লাখ টাকা। গেল মৌসুমে দেড়শ’ মন মধু সংগ্রহ হয়।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মৌহসনি হোসেন বলেন, মৌমাছিরা খাবার না পেয়ে পানি পান করছে। বৃষ্টি না হওয়ায় কাঙ্খিত ফুল ফোটেনি। ফলে মধুর চাকের পরিমাণ খুব কম। আগামী মাসে মধুর মৌসুম শেষ হবে।
খুলনাগেজেট/ এস আই