খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২০ মে, ২০২৪

Breaking News

  হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিঁখোজ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসি
  বাজারে থাকা এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ, বাজারজাতকারীকে ১৬ লাক টাকা জরিমানা

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কলেজের গাছ ও মাটি বিক্রয়ের অভিযোগ

অভয়নগর প্রতিনিধি

যশোরের অভয়নগরে ভবদহ মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রজাতীর গাছ ও মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। শহীদ মিনার নির্মানের অজুহাত দেখিয়ে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ কাটা হয়েছে। গাছ ও মাটি বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।

জানা গেছে, ভবদহ অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে ১৯৮৮ সালে ভবদহ মহাবিদ্যালয় স্থাপিত হয়। এরপর কলেজ চত্বরে বিভিন্ন প্রজাতীর বৃক্ষরোপন করা হয়। ভবদহ মহাবিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে সদ্য যোগদান করেন হাসান আলী সরদার। যোগদানের পর থেকে তিনি মাটি ও বিভিন্ন প্রজাতীর গাছ বিক্রি শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে,শনিবার (১২ ফেব্রæয়ারি) সকালে ভবদহ মহাবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, প্রধান ফটকের বাম পাশে শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ চলছে। একটি ভ্যানের উপর মেহগনি গাছ কেটে রাখা হয়েছে। নির্মানাধীন শহীদ মিনারের সামনে একটি বড় মেহগনি গাছের অর্ধেক অংশ কেটে ফেলা হয়েছে, বাকি অংশ কাটার প্রস্তুতি চলছে। ফটকের ডান পাশে ইতোপূর্বে বিক্রি করা বিভিন্ন গাছের ডাল ও পাতা পড়ে রয়েছে। কলেজের পূর্ব প্রান্তে শ্মশান হতে প্রায় আধাকিলোমিটার পর্যন্ত স্তুপ করা মাটি স্কেভেটর দিয়ে কেটে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কলেজের এক শিক্ষক জানান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নির্দেশে গত ২০ দিন ধরে মাটি বিক্রি করা হয়েছে। মাটির ট্রাক যাতায়াতের জন্য বেশ কয়েকটি ফলজ ও বনজ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। নির্মিত শহীদ মিনারের স্থান থেকে কয়েকটি গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে। তবে মাটি ও গাছ বিক্রির টাকা কলেজ ফান্ডে জমা হয়েছে কিনা তা আমি জানিনা।
ওই মহাবিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল মতলেব সরদার বলেন, আমি বিদায় নেওয়ার সময় কলেজের প্রধান ফটকের উভয় পাশে আম ও মেহগনিসহ বিভিন্ন প্রজাতীর গাছ ছিল।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসান আলী সরদার মুঠোফোনে জানান, গেটের বাম পাশে শহীদ মিনার নির্মানের জন্য একটি মেহগনি গাছের শিকড়, একটি ছোট আমগাছ ও কলাগাছের ঝাড় কাটা হয়েছে। এছাড়া কোন গাছ কাটা হয়নি বা বিক্রি করা হয়নি। মাটি কাটা ও বিক্রির বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। অত্র মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি বিষ্ণুপদ দত্ত জানান, গাছ কাটা ও মাটি বিক্রির বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন জানান, ভবদহ মহাবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনকিছু অবগত করেনি। আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!