খুলনার পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালীর দরগামহল গ্রামের হাফেজিয়া মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্রী অগ্নিদগ্ধ শিশু মরিয়ম খাতুন বাঁচতে চায়। শীত নিবারণে মাদ্রাসায় সহপাঠীদের সাথে আগুন পোহানোর সময় আকষ্মিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি রয়েছে এই কোরআনের পাখি। তার সুষ্ঠু চিকিৎসা চালাতে অনেক টাকার প্রয়োজন। তার চিকিৎসাভার বহনে অক্ষম পরিবার সকলের কাছে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছেন।
মরিয়ম খুলনার পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নের দরগামহল গ্রামের হতদরিদ্র লিটন গাজী ও মমতাজ বেগম দম্পতির প্রথম সন্তান। দু’ভাই-বোনের মধ্যে মরিয়ম বড়। ছোটবেলা থেকে পিতা-মাতার স্বপ্ন ছিল একমাত্র মেয়েকে কোরআনের হাফেজ বানাবেন। স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারা মেয়েকে প্রায় ৬ মাস আগে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জেঠুয়ার একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসায়
ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থানকালীন প্রায় একমাস আগে শীতের সকালে মরিয়ম সহপাঠীদের সাথে রান্নার চুলার পাশে বসে আগুন পোহাচ্ছিল এ সময়ে অসাবধানতায় আকষ্মিক শরীরের চাদরে ছিটকে পড়ে আগুন। মূহুর্তেই আগুন গোটা শরীর ও মাথা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এতে শরীরের পুরো অংশ পুড়ে যায়। মাদ্রাসার শিক্ষক-সহপাঠীদের সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরিবারের পাশাপাশি প্রতিবেশী আত্নীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর সহযোগীতায় চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করলেও বর্তমানে তার চিকিৎসা চালিয়ে যেতে প্রয়োজন লাখ টাকা। যা বহন করা তার পরিবারের পক্ষে মোটেও সম্ভব নয়।
এমন পরিস্থিতিতে টাকার অভাবে মরিয়মের চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবি পরিবারের। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের দাবি, অপারেশন ও সার্জারী হলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে মরিয়ম। যার জন্য প্রয়োজন অন্তত ৩/৪ লাখ টাকা।
সন্তানের চিকিৎসা ব্যয়ভার বহনে ব্যর্থ পিতা-মাতা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চিন্তায় নির্বাক হয়ে পড়েছেন। তাদের আশঙ্কা, তবে কি অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে যাবে ছোট্ট শিশুর চিকিৎসা? সে কি আর কখনও ফিরবেনা স্বাভাবিক জীবনে? এমন নানা দুশ্চিন্তায় বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন অসহায় মা মমতাজ বেগম। সমাজের বিত্তবান মানুষের সাহায়তা কামনা করেছেন পিতা মাতা।
মরিয়মকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা মো: শফিকুল ইসলামা যোগাযোগ এবং বিকাশ ও রকেট ০১৯১৬-৪২০২২৩।
খুলনা গেজেট/ এসজেড