স্বাস্থ্য অধিদফতরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অ্যান্টিজেন টেস্ট কার্যক্রম শুরু করছে ব্র্যাক। শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর মগবাজারের মধুবাগে আসাদুজ্জামান খান কামাল কমিউনিটি সেন্টারে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ব্র্যাক জানায়, শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। প্রতিটি বুথে ১৫০টি করে নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হবে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনা পরীক্ষার কার্যক্রম বিস্তারের পরিকল্পনা করেছে ব্র্যাক। পর্যায়ক্রমে ঢাকায় ৩২টি এবং চট্টগ্রামে ৪টি বুথের মাধ্যমে অধিক সংক্রমণ এলাকায় করোনা পরীক্ষা করা হবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে আরটি-পিসিআর টেস্ট পদ্ধতিতে করোনাভাইরাসের বেশিরভাগ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ফল পেতে অন্তত ২৪ ঘণ্টা কিংবা তারও বেশি সময় লাগে। কিন্তু অ্যান্টিজেন টেস্টে নমুনা সংগ্রহের পর অল্প সময়ের মধ্যেই পরীক্ষার ফলাফল জানা যায়। অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে নমুনা পরীক্ষায় সময় লাগবে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট। যা সরকারের করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে বলে আশা করে ব্র্যাক।
যেভাবে পাওয়া যাবে এ সুবিধাঃ
নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শে, অথবা করোনাভাইরাসের উপসর্গ, যেমন- জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট রয়েছে, এমন ব্যক্তি বা কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা যে কেউ নমুনা জমা দিতে পারবেন ব্র্যাকের বুথের মাধ্যমে।
অনলাইনে আবেদনের পর বুথে উপস্থিত হলে ব্র্যাক কর্মীরা রোগীর লক্ষণ এবং রোগের ইতিহাস জেনে কোন পদ্ধতিতে (অ্যান্টিজেন পদ্ধতি অথবা আরটি-পিসিআর) করোনা পরীক্ষা করা হবে তা নির্ধারণ করবেন। সাধারণত উপসর্গ থাকলে অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হবে এবং পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ হলে ৩০ মিনিটের মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে। পজিটিভ ফলাফল ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে।
তবে উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও কারও টেস্টের ফল যদি নেগেটিভ হয় তাহলে পুনরায় তার নমুনাটি আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হবে (নমুনা একবারই নেওয়া হবে)।
ব্র্যাকের বুথের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষার জন্য অবশ্যই প্রত্যেক সেবাগ্রহীতাকে অনলাইনে coronatest.brac.net – এই লিংকে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে এবং ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এ ‘বিল পে’ অপশন-এর মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত ১০০ টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই