খুলনা, বাংলাদেশ | ২৩ মাঘ, ১৪৩১ | ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন গ্রেপ্তার
  ভারত থেকে শেখ হাসিনার অবিরাম বিবৃতিতে কারণেই ছাত্র-জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে, দাবি পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

১৭ বছর উন্নয়ন বঞ্চিত ঝিকরগাছা মহিলা দাখিল মাদরাসা

ঝিকরগাছা প্রতিনিধি

দীর্ঘ ১৭ বছর উন্নয়ন বঞ্চিত ঝিকরগাছা মহিলা দাখিল মাদরাসাটির বেহাল দশা। পর্যাপ্ত ক্লাসরুম নেই, শিক্ষক-কর্মচারীদের আলাদা রুম নেই, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট বা ওয়াশরুম নেই, মাদরাসায় যাতায়াতের পাকা রাস্তা নেই, টিনসেডের কয়েকটি শ্রেণিকক্ষ থাকলেও তার উপরের চালের টিন নেই, মানসম্মত অফিস কক্ষ নেই। শুধু নেই, আর নেই।

প্রতিষ্ঠাকাল থেকে মুল অবকাঠামোর বাইরে আর কোন দৃশ্যমান উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এই প্রতিষ্ঠানটিতে। আক্ষেপের সাথে এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলেন, পায়রাডাঙ্গা গ্রামটি বিএনপি অধ্যুষিত হওয়ায় শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এখানে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। একতরফা ভোটে আওয়ামীলীগ সরকারের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা থাকলেও এই প্রতিষ্ঠানটিতে সরকারি কোন বরাদ্দ দেয়নি।

বুধবার ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে সরেজমিনে ঝিকরগাছা উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ঝিকরগাছা মহিলা দাখিল মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের এ্যাসম্বলী করতে। এ্যাসম্বলী শেষে মাদরাসা সুপারের অফিস কক্ষ, সহকারী শিক্ষকদের কক্ষ, শিশুশ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটা ক্লাসরুম ও টয়লেট সরেজমিনে ঘুরে বেহাল দশা লক্ষ্য করা গেছে। কয়েকটি শ্রেণি কক্ষের চালের টিন ফাঁকা হয়ে আকাশ দেখা গেছে।

জানতে চাইলে মাদরাসা সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, এলাকায় ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় ১৯৯৭ সালে স্থানীয় আলহাজ্ব মো. মহসীন আলী, শমসের আলী গাজী, নাজমুল বাকার, আজগর আলী গাজী, জামাল উদ্দীন, আনোয়ার হোসেনসহ গ্রামবাসির সহযোগিতায় পায়রাডাঙ্গা মৌজার কপোতাক্ষ পাড়ে ৭৫ শতক জমির উপর ঝিকরগাছা মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়।

সে সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় ৩টি টিনসেডের আধাপাকা বিল্ডিং করে লেখাপড়া কার্যক্রম শুরু করা হয়। পরবর্তীতে ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে মাদরাসাটি সাধারণ বিভাগে স্বীকৃতি পায়, ২০০২ সালে এমপিও ভুক্ত ও পহেলা জানুয়ারি ২০০৩ সালে বিজ্ঞান বিভাগ খোলার অনুমতি লাভ করে।

পরবর্তীতে ২০০৬ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতা হারালে প্রতিষ্ঠানটির আর অগ্রগতি হয়নি। বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় এবং আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় দীর্ঘ ১৭ বছরে উক্ত মাদরাসায় কোন বরাদ্দ দেয়া হয়নি।

প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ১৮ জন শিক্ষক, ৫ জন কর্মচারীসহ প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ঝিকরগাছা-মনিরামপুর সড়ক থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি চলাচলে একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পরে। আওয়ামী সরকারের জনপ্রতিনিধিরা রাস্তাটি পাকা করা তো দূরে থাক সোলিং করারও উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।

জানতে চাইলে, ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক প্রবিণ রাজনীতিবিদ মোর্তজা এলাহী টিপু বলেন, ঝিকরগাছা মহিলা দাখিল মাদরাসাটি বিএনপি অধ্যুষিত এলাকায় হওয়ায় স্বৈরাচার ভোট ডাকাত সরকার দলীয় জনপ্রতিনিধিরা কোন উন্নয়ন মূলক কাজ করেননি। বরং শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের নামে দুর্নীতি অনিয়ম করে লাখ লাখ টাকার ঘুষ নিয়ে লাভবান হয়েছে আওয়ামী লীগ দলীয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও জনপ্রতিনিধিরা।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!