রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের হামলার অভিযোগ উঠেছে। সমাবেশ চলাকালে হঠাৎ করেই দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে সমাবেশের দুইদিকে অবস্থান নেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছোড়া হয়।
পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়া ও সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দের মধ্যে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশের মঞ্চ থেকে চলে যেতে বাধ্য হন কেন্দ্রীয় নেতারা। কাঁদানে গ্যাসের কারণে সমাবেশস্থলে কারও পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব ছিল না। আজ শনিবার বেলা তিনটার দিকে নয়াপল্টন এলাকায় এমন পরিস্থিতি ছিল। বেলা সাড়ে তিনটার মধ্যে নয়াপল্টনের সমাবেশস্থল পুরো ফাঁকা হয়ে যায়। এলাকাটি চলে যায় পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।
বিএনপির অভিযোগ, পুলিশ কাকরাইল মোড় থেকে ধীরে ধীরে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়তে ছুঁড়তে পল্টনের দিকে এগিয়ে যায়। একসময় মুহুর্মুহু রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে থাকে।
দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের দিকে সমাবেশের দুদিকে (কাকরাইল ও ফকিরাপুল) অবস্থান নেয় পুলিশ। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নয়াপল্টন এলাকা অনেকটা ফাঁকা দেখা গেছে। রাস্তায় বিক্ষিপ্তভাবে জ্বলছে আগুন।
এর পরপর সমাবেশ থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থল থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে। বিএনপির সমাবেশ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে পুলিশি আক্রমণের প্রতিবাদে রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছে বিএনপি।
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে নির্দিষ্ট সময়ের আগে শুরু হয় বিএনপির সমাবেশ। কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। তার আগে বেলা ১১টা থেকে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে মহাসমাবেশ মঞ্চে চলে গান-বাজনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
নয়াপল্টনে সড়কের ওপরে পিকআপ ভ্যানে অস্থায়ী মঞ্চে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা ছিল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু তার আগেই সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেছে।
খুলনা গেজেট/ টিএ