যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামের লাল্টু মোল্লাকে তার স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছে। হত্যা মামলা তদন্ত করতে গিয়ে এসআই আওয়াল হোসেন এ তথ্য জানতে পেরেছেন। এ ঘটনায় তিনি নিহতের স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে। অভিযুক্ত সুরাইয়া খাতুন যশোর সদর উপজেলার কেফায়েত নগর গ্রামের ইউনুস মোল্লার মেয়ে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, লাল্টু মোল্লা বিমান বাহিনীতে বেসামরিক পদে চাকরি করতেন। ঘটনার ৮ মাস আগে তিনি পারিবারিকভাবে সুরাইয়া খাতুনকে বিয়ে করেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে লাল্টু ছুটিতে বাড়িতে আসেন। গত ২৭ মার্চ গভীররাতে লাল্টুর স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন তার শাশুড়িকে ঘুম থেকে ডেকে জানান, লাল্টু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
বিষয়টি জানার পর নিহতের বড় ভাই মনিরুজ্জামান মিন্টু এবং মা তার ঘরে গিয়ে দেখেন, লাল্টু মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় আছে। এরপর লাল্টুকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি মারা গেছেন বলে ডাক্তার জানান। সকালে পুলিশ এসে লাল্টুর সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন। এসময় পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় লাল্টুর স্ত্রী সুরাইয়া খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে নিহতে ভাই মনিরুজ্জামান মিন্টু বাদী হয়ে বাঘারপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ নিহতের স্ত্রী সুরাইয়া খাতুনকে আদালতে সোপর্দ করলে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
এ মামলার তদন্তকালে আটক আসামির দেয়া তথ্যে এসআই আওয়াল হোসেন জানতে পারেন ঘুমন্ত স্বামী লাল্টুকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছে তার স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন। এরপর তিনি সুরাইয়াকে অভিযুক্ত করে বুধবার আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এমএম