পটুয়াখালীর লেবুখালী এলাকার পায়রা সেতু যান চলাচলের জন্য আজ রোববার (২৪ অক্টোবর) উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। ফলে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের লেবুখালীর পায়রা সেতু কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পায়রা সমুদ্রবন্দর ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত ফেরিবিহীন সড়ক যোগাযোগ চালু হতে যাচ্ছে। পটুয়াখালীর লেবুখালীর পায়রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণকাজ ও সৌন্দর্যবর্ধন শেষে যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করবেন। ২০১৩ সালের ১৯শে মার্চ পায়রা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের ৮ বছর ৭ মাস ৫দিন পর চালু হবে।
জানা গেছে, বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের পায়রা নদীর ওপর ২০১৬ সালে পায়রা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ইতোমধ্যে মূল সেতুর শত ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এই সেতুতে বেশ কিছু নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশেষ করে নদীর মধ্যে পাশে থাকা পিলারে যাতে কোনো নৌযান ধাক্কা দিতে না পারে সে জন্য পিলারের পাশে নিরাপত্তা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া বজ্রপাত কিংবা ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেতুর কোনো ক্ষতি হলো কিনা সেটি মনিটরিং করারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘লনজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন’ সেতুটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছে। ১৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৯.৭৬ মিটার প্রস্তের এই সেতুটি ক্যাবল দিয়ে দুই পাশে সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে নদীর মাঝখানে একটি মাত্র পিলার ব্যবহার করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী সেতুর আদলে নির্মিত দেশের দ্বিতীয়তম সেতু এটি, যা এক্সট্রা ডোজ ক্যাবল সিস্টেমে তৈরি করা। কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট, ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ বিনিয়োগে সেতুটি নির্মাণে প্রায় ১৫শ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
সেতুটি চালু হওয়ার আগেই সকাল-সন্ধ্যার পর সেতুর দু’পাড়ে দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ বলেন, ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক পটুয়াখালী মো. কামাল হোসেন পায়রা সেতু (লেবুখালী সেতু) ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধনের স্থান পরিদর্শন করে প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
উদ্বোধন বিষয়ে সেতু নির্মাণ পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল হালিম জানান, প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের জন্য সবধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এমএম