যশোরের অভয়নগরের পাথালিয়া গ্রামের গৃহবধু মনজুরা বেগম হত্যা মামলায় তার স্বামী আব্দুস সেলিমের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১১ সেপ্টম্বর) অতিরিক্ত দায়রা জজ তাজুল ইসলাম এ আদেশ দিয়ে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত পিপি আসাদুজ্জামান।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৬ সালের ৬ মে পাথালিয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের পুকুর থেকে গৃহবধু মনজুরা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করে গ্রামবাসী। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই অভয়নগরের পায়রা গ্রামের কবির হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে অভয়নগর থানায় মামলা করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, আব্দুস সেলিমের সাথে তার বোন মনজুরা বেগমের বিয়ে হয় এবং তাদের সংসারে একটি সন্তানের জন্মের পর বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। এর কয়েকদিন পর সেলিম একই গ্রামের রিক্তা নামে আরেক মেয়েকে বিয়ে করেন। তার ছয় বছর পর সেলিম পুনরায় মনজুরা বেগমকে বিয়ে করার জন্য তাদের বাড়িতে যান। পরিবারের সম্মতিতে তাদের ফের বিয়ে হয়। পরে সন্তান ও স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় সেলিম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী রিক্তা বাবার বাড়িতে চলে যান। এরপর সেলিমের বিরুদ্ধে পারিবারিক আদালতে মামলা করেন রিক্তা। এসব বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে গোলোযোগ চলতে থাকে। এক পর্যায়ে ২০০৬ সালের ৬ মে ভোরে মনজুরার মৃতদেহ গ্রামের পুকুর থেকে উদ্ধার হয়।
এদিকে, মামলার পর তদন্তে উঠে আসে স্ত্রীকে হত্যা করে আব্দুস সেলিম নিজে। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। এক পর্যায় সেলিমকে আটক করে পুলিশ। এসময় তার স্বীকারোক্তিতে হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। মামলাটি তদন্ত করে ২০০৭ সালের ৮ মে আদালতে চার্জশিট জমাদেন এসআই জসিম উদ্দিন। সোমবার এ মামলার রায় ঘোষণার পর সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
খুলনা গেজেট/এমএম