টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। মঙ্গলবার পার্থ স্টেডিয়ামে তারা ৭ উইকেটে হারিয়েছে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে।
এদিন আগে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা ১৫৭ রান সংগ্রহ করে। জবাবে মার্কাস স্টয়েনিসের তাণ্ডবে ১৬.৩ ওভারেই জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। স্টয়েনিস মাত্র ১৭ বলে ফিফটি করেন। আর ১৮ বলে ৪টি চার ও ৬ ছক্কায় অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তার সঙ্গে ৪২ বলে ১ ছক্কায় ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক অ্যারোন ফিঞ্চ। এছাড়া ডেভিড ওয়ার্নার ১১, মিচেল মার্শ ১৮ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২৩ রান করে আউট হন।
এদিন অস্ট্রেলিয়া ২৬ রানে প্রথম, ৬০ রানে দ্বিতীয় ও ৮৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারায়। তারা ৮৯ রান তুলেছিল ১২.২ ওভারে। এরপর মাঠে নামেন স্টয়েনিস। তিনি শুরু থেকেই ঝড় তোলেন। মাত্র ১৭ বলে ৪টি চার ও ৫ ছক্কায় ৫৩ করেন। যা অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্রুততম ফিফটি।
শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৮ বল মোকাবিলা করে ৪টি চার ও ৬ ছক্কায়, ৩২৭.৭৭ স্ট্রাইক রেটে ৫৯ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়ে অবধারিতভাবে ম্যাচসেরাও হন তিনি।
তার আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ রানেই কুশাল মেন্ডিসের উইকেট হারায় লঙ্কানরা। সেখান থেকে পাথুম নিসাঙ্কা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ৬৯ রানের জুটি গড়ে জবাব দেন। ৭৫ রানের মাথায় ধনঞ্জয়া ফিরেন ২৬ রান করে। দলীয় সংগ্রহ শতরান ছোঁয়ার আগে ফিরেন নিসাঙ্কা। ৪০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর দ্রুত বেশ কয়েকটা উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। তবে সপ্তম উইকেটে চারিথ আসালঙ্কা ও চামিকা করুণারত্নে ৩৭ রানের জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কাকে ১৫৭ রানের সংগ্রহ দেন।
আসালঙ্কা ২৫ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৩৮ রানে। তার সঙ্গে ৭ বলে ২ চারে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন করুণারত্নে। বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার জশ হ্যাজেলউড, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, অ্যাস্টন অ্যাগার ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১টি করে উইকেট নেন।
বড় জয় পেলেও পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বড় জয় পাওয়া শ্রীলঙ্কা আছে তৃতীয় স্থানে।