সুন্দরবনকে ঘিরে সম্ভাবনা রয়েছে। এই বনে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় কাজ করছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ। সুন্দরবনে আসা সুন্দরবনে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবাইকে কাজ করতে হবে। সুন্দরবনে এখন আর বনদস্যু নেই। সুন্দরবনে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের পরিচয়পত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টিকে লক্ষ্য রেখেই এই কাজ করা হচ্ছে।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) খুলনার সিএসএস আভা সেন্টারে আয়োজিত ‘সুন্দরবন কেন্দ্রীক পর্যটন নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ খুলনা রিজিওন এই কর্মশালার আয়োজন করে।
টুরিস্ট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অনলাইনে যুক্ত থেকে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, সুন্দরবনের রাস মেলা এক ঐতিহ্যবাহী উৎসব। গত চার বছর ধরে পর্যটকদের জন্য রাস উৎসবে যাওয়া বন্ধ রয়েছে। অথচ জেলে ও পূন্যার্থীরা যাচ্ছে। তাহলে পর্যটকদের যেতে সমস্যা কি? তারা পর্যটকদের জন্য রাস উৎসব উন্মুক্ত করার দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, সুন্দরবনের খালে বিষ প্রয়োগে মাছের বাস্তুসংস্থান ধ্বংস করা হচ্ছে। এ বিষয়ে নজর খেয়াল রাখতে হবে।
ট্যূরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সুন্দরবনে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে রিভিউ নেওয়া হবে। এতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভ্রমণের সুবিধা, অসুবিধা, ট্যূর অপারেটরদের আচার-ব্যবহার, আপ্যায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যটকরা মন্তব্য করবেন। এটা একটা সিজনের জন্য রিসার্চ করা হবে। যা আগামী অক্টোবর থেকে শুরু হবে। এর মাধ্যমে টপ ৫টি ট্যূর অপারেটরকে চিহ্নিত করে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত থেকে বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মো. ইলিয়াছ শরীফ। বিশেষ বক্তা ছিলেন সাংবাদিক মোহসীন উল হাকিম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ওয়াসিউল ইসলাম ও জাহাজী লিমিটেডের কো-ফাউন্ডার, সিইও মো. কাজল আব্দুল্লাহ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ট্যুরিস্ট পুলিশের এডিশনাল এসপি এমএম মোহাইমেনুর রহমান।
বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক মো. আশরাফ হোসেন, ট্যুর অপারেটর এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মঈন উদ্দীন জমাদ্দার, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম ডেভিড প্রমুখ। কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আশিকুর রহমান।