রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোঃ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার দেবহাটা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেছে র্যাব। বুধবার দিবাগত রাতে (১৬জুলাই) করা মামলাটিতে সাহেদসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। র্যাব-৬ এর ডিএডি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, র্যাবের পক্ষ থেকে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। মামলায় প্রতারক সাহেদকে মূল আসামি এবং একজনকে পলাতক ও একজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। পরে রাতেই র্যাব-৬ এর সিপিসি-১ এর ডিএডি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৯৭৮ সালের আর্মস অ্যাক্টের ১৯-এ উপধারা এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ এর বি/এ ধারায় দেবহাটা থানায় একটি মামলাটি করেন। মামলা নং ০৫। মামলায় সাহেদ করিমকে প্রধান আসামিসহ একজনকে পলাতক ও অজ্ঞাত একজনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়।
উল্লেখ্য, প্রতারণাসহ নানা অপকর্মের ঘটনায় ইতোপূর্বে প্রতারক সাহেদের বিরুদ্ধে ৫৬টির মতো মামলার সন্ধান পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যার মধ্যে একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি ছিলেন রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ।
সর্বশেষ করোনাভাইরাসের ভুয়া টেস্ট ও জাল সনদ প্রদানের ঘটনায় র্যাবের অভিযানে রিজেন্ট হাসপাতালের দু’টি শাখা সিলগালা করে পুলিশের এই এলিট ফোর্সটি। এরপর মামলা হলে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল সাহেদ। অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকাল বুধবার ভোরে ছদ্মবেশে ভারতে পালানোর চেষ্টার সময় র্যাবের হাতে ধরা পড়েন রিজেন্টের চেয়ারম্যান।